স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ৩১ আগস্ট।। গত ২৫ আগস্ট প্রাক্তন পিসিসি সভাপতি বীরজিৎ সিনহা জিরানীয়া এলাকায় আক্রান্ত হন। এই ঘটনার প্রতীবাদ জানিয়ে সোমবার কংগ্রেসের শাখা সংগঠনের বৈঠক অনুষ্ঠিত আগরতলা প্রেস ক্লাবে। এদিনের বৈঠকে কংগ্রেস সেবা দল, প্রদেশ কিষাণ কংগ্রেস, মাইনোরিটি ডিপার্টমেন্ট, আদিবাসী কংগ্রেস, ওবিসি ডিপার্টমেন্ট, লিগ্যাল সেল, ফিসারম্যান, এস সি ডিপার্টমেন্ট, এন এস ইউ আই, হিউম্যান রাইটস , মহিলা কংগ্রেস, চা মজদুর ইউনিয়ন সহ একাধিক সংগঠন অংশ নেয়। পরে বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্তের কথা জানান কংগ্রেস সেবা দলের সভাপতি নিত্যগোপাল রুদ্রপাল।
তিনি জানান এই আক্রমণের প্রতিবাদে আগামী ৩ সেপ্টেম্বর রাজ্যব্যাপী ১২ ঘণ্টার বনধের আহ্বান করা হয়েছে। জাতি উপজাতি সব অংশের মানুষের কাছে আহ্বান জানান এই বনধ সফল করার আহ্বান জানান। সকাল ৬ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত এই বনধ চলবে বলে জানান তিনি।<br>
এদিকে ঘড় জুড়ে অশান্তি। আর এই অশান্তি বারে বারে বাইরে বেড়িয়ে এসেছে। প্রকাশ্যে এসে তৈরি করেছে জটিলতা। এটাই রাজ্য কংগ্রেস দলের ট্র্যাডিশনে পরিণত হয়েছে।
তবে এই ট্র্যাডিশন যে এখনো বিন্দু মাত্র পরিবর্তন হয়নি তা ফের একবার স্পট হয়ে গেল। সোমবার প্রদেশ কংগ্রেস কার্যালয়ের পরিবর্তে আগরতলা প্রেস ক্লাবে বৈঠক করে কংগ্রেসের ১৬ টি শাখা সংগঠন। বলা চলে বীরজিৎ পন্থীর অনুগামীরা। আর সেই বৈঠকে নেওয়া হয় গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। কিছুক্ষণ পর বৈঠক শেষে ঘোষণা করা হয় আগামী ৩ সেপ্টেম্বর রাজ্য জুড়ে ১২ ঘণ্টার বনধের ডাক দিয়েছে ১৬ টি শাখা সংগঠন একত্রে। ইস্যু প্রাক্তন পিসিসি সভাপতি বীরজিৎ সিনহার উপর আক্রমণের প্রতীবাদে।
এই ঘোষণা নিয়ে নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে, ঠিক তখনই দলীয় কর্মসূচী সেরে ফিরে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের পিসিসি সভাপতি পীযুষ বিশ্বাস স্পষ্ট করে জানিয়ে দেয় কংগ্রেস দল কোন বনধের আহ্বান করেনি। কংগ্রেস দল কংগ্রেস ভবন থেকে পরিচালিত হয়। কোন প্রেস ক্লাব, রেস্তোরা থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় না। এই সিদ্ধান্ত উশৃঙ্খলার সামিল। কংগ্রেস দলকে ব্যক্তিগত লাভালাভের জন্য ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না। ১৬ টি সংগঠনের অনেকেই এই বন্ধকে সমর্থন করে না। কিছু সংগঠন গত কিছু বছরে কাগজে পত্রে পরিণত হয়েছে। কারা এই বনধ ডাকল তা ক্ষতিয়ে দেখা হবে।
পিসিসি সভাপতির এই বক্তব্য ঘিরে স্পষ্ট হয়ে গেল রাজ্য কংগ্রেস দলের বর্তমান অবস্থার। বীরজিৎ সিনহার উপর আক্রমণের প্রতীবাদে বিক্ষোভ প্রদর্শনের নির্দেশ দেওয়া হয়। পিসিসি বৈঠকে এই নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। পিসিসি সিদ্ধান্ত মেনে চলার কড়া বার্তা দেন তিনি। সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কেউ গিয়ে আন্দোলন করলে দলীয় সৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে পড়বে বলে স্পষ্ট করে দেন পিসিসি সভাপতি পীযুষ বিশ্বাস।