পশ্চিম ত্রিপুরা জেলায় করোনা পরিস্থিতি ভয়ংকরের দিকে যাচ্ছে

স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ২৯ আগস্ট।। উত্তর পূর্বাঞ্চলের ছোট রাজ্য গুলির মধ্যে ত্রিপুরার অবস্থা ভাল নয়। যথেষ্ট উদ্বেগের। করোনা সংক্রমণ দ্রুত গতিতে ছড়াচ্ছে। জন সংখ্যার অনুপাতে বিচার করলে ত্রিপুরায় মৃত্যুর হার এলার্মিং। এই পরিস্থিতি সরকার, সংস্থা , এন জি ও এবং কমিটির একার পক্ষ্যে সামাল দেওয়া সম্ভব কর নয়। কড়া ভাবে সরকারী নির্দেশিকা মেনে চলতে হবে।

জিবি কোভীড ট্রিটমেন্ট সেন্টারকে বিশেষ ভাবে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। আই সি এম আর গাইড লাইন মেনে সমস্ত পরিষেবা কোভীডের ক্ষেত্রে প্রদান করা হচ্ছে। এই নিয়ে কোন ধরনের প্রশ্ন বা বিতর্ক থাকতে পারে না। নো ট্র্যাভেল হিস্ট্রি বনাম কন্ট্রাক হিস্ট্রি এখন প্রায় সমান সমান। ট্র্যাভেল হিস্ট্রী ও কন্ট্রাক হিষ্ট্রি ছারাও এখন করোনা আক্রান্ত রোগীর সন্ধান মিলছে। এটা অত্যন্ত উদ্বেগের। শনিবার এ জি এম সি হাসপাতালে সাংবাদিক সম্মেলন করে এই কথা জানান এ জি এম সি-র পেডিয়েট্রিক ডিপার্টমেন্টের এইচ ও ডি- প্রফেসার সঞ্জীব দেববর্মা। এই ক্ষেত্রে বেশী মাত্রায় পরীক্ষা করতে হবে।

পজেটিভ হলে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। নো সিমটম ও মাইল্ড সিমটম কেস গুলি হোম আইসোলেশনে থাকতে পারবে সরকারী নির্দেশ মোতাবেক। ম্যাডিকেল অফিসার ও স্বাস্থ্য কর্মীদের নজর থাকতে হবে তাদের। সমস্ত নিয়ম মেনে চলছে কোভীড মুক্ত হওয়া যাবে বলে জানান তিনি। ডেডিকেডেড কোভীড হাসপাতালে সমস্ত গুরুতর রোগীদের চিকিৎসা করা হবে। এই ক্ষেত্রে যারা চিকিৎসা করছে তাদের সমস্ত ধরনের নিরাপত্তা সামগ্রী প্রদান করা হচ্ছে। চারটি বিষয় উত্থাপন করে তা কড়া ভেবে মেনে চলার বার্তা দেন এ জি এম সি-র পেডিয়েট্রিক ডিপার্ট মেন্টের এইচ ও ডি- প্রফেসার সঞ্জীব দেববর্মা।

শনিবার ট্যাকনিক্যাল এক্সপার্ট কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেই বৈঠকে পৌরহিত্য করেন চেয়ারম্যান ডাঃ সুব্রত বৈদ্য। বিগত তিন মাসে পশ্চিম জেলা ভয়ানক পরিস্থিতিতে যাচ্ছে। গোটা রাজ্যের ৩১ শতাংশ করোনা আক্রান্ত এখন পশ্চিম জেলার। আগে ছিল সিপাহীজলা জেলা। এখন তৃতীয় স্থানে গেছে সিপাহীজলা জেলা। ভাল জায়গায় আছে উনকোটি জেলা। সেখানে করোনা আক্রান্তের শতকরা হার ৪.৪৬। এটাই পশ্চিম জেলার অবস্থার অবনতি দেখিয়ে দিচ্ছে।

এখনি সকলে মিলে ঝাপিয়ে না পড়লে আগামী দিনে পরিস্থিতি নাগালের বাইরে চলে যাবে বলে জানান এ জি এম সি-র পেডিয়েট্রিক ডিপার্ট মেন্টের এইচ ও ডি- প্রফেসার সঞ্জীব দেববর্মা।একাধিক জেলার পরিসংখ্যান তুলে ধরেন তিনি। একই সঙ্গে মৃত্যুর ক্ষেত্রে বয়স ও অন্যান্য বিষয় গুলিও আলোচনা করেন চিকিৎসকেরা। তিনি জানান এখনো পর্যন্ত মৃত্যুর হারে ৫০ উর্ধদের সংখ্যাই বেশী। ১০ বছরের নীচে দুইটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। অন্যান্য জটিল রোগে আক্রান্তদের মৃত্যু এই ক্ষেত্রে বেশী। ৯৩ শতাংশ রোগীর মৃত্যু হয়েছে ডেডিকেটিভ কোভীড হাসপাতালে।

বাকীদের অন্যত্র মৃত্যু হয়েছে বলে জানান এ জি এম সি-র পেডিয়েট্রিক ডিপার্ট মেন্টের এইচ ও ডি- প্রফেসার সঞ্জীব দেববর্মা। সুস্থতার হার ৫৩.২২ শতাংশ । অন্যদিকে এক্টিভ কেসের হার ৪৫.১৩ শতাংশ বলে জানান তিনি। এদিনের সাংবাদিক সম্মেলন ছিলেন এ জি এম সি-র সার্জারি ডিপার্টমেন্টের প্রফেসার দামোদর চ্যাটার্জী ও চেস্ট ও টিবির চিকিৎসক ডাঃ অঞ্জন দাস

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

চ্যাট খুলুন
1
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠান
হেলো, 👋
natun.in আপনাকে কিভাবে সহায়তা করতে পারে?