স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ২৬ আগস্ট।। সময়ের সাথে সাজুয্য রেখে ত্রিপুরা ফায়ার সার্ভিসে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের উপর মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব গুরুত্বারোপ করেছেন৷ এক্ষেত্রে মেঘালয়, সিকিম-এর মতো ছোট ছোট রাজ্যগুলিতে ফায়ার স্টেশন নির্মাণে যেসব আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে তা রাজ্যে ফায়ার স্টেশন নির্মাণের ক্ষেত্রেও প্রয়োগ করা যায় কিনা তা দপ্তরকে পর্যালোচনা করতে তিনি নির্দেশ দেন৷ পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিস-এ কর্মরত ফায়ারম্যান, ড্রাইভার সহ অন্যান্য কর্মীদের শারীরিক সক্ষমতা আরও বাড়ানোর জন্য নিয়মিত প্রশিক্ষণের উপরও গুরুত্ব দিতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ আজ মহাকরণের ২নং কনফারেন্স হলে স্বরাষ্ট্র দপ্তরের অগিনির্বাপক ও আপতকালীন পরিষেবা বিভাগের পর্যালোচনা সভায় মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব এই অভিমত ব্যক্ত করেন৷
সভায় অগিনির্বাপক ও আপতকালীন পরিষেবা বিভাগের বিভিন্ন কর্মসূচির পর্যালোচনা করে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আগামী দশ বছরে রাজ্যের পরিস্থিতি কেমন হতে পারে সে বিষয়টিকে মাথায় রেখে দপ্তরকে পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে৷ তিনি বলেন, রাজ্যে বর্তমানে অনেক মাল্টিস্টোরিড বিল্ডিং তৈরি হয়েছে৷আগামী ২০২৩ সালের মধ্যে রাজ্যেও আরও অনেক উঁচু বিল্ডিং, ফ্ল্যাট ইত্যাদি তৈরি হবে৷ সেদিকে লক্ষ্য রেখেই দপ্তরকে প্রয়োজনীয় দক্ষ কর্মী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে গড়ে তোলার উপর গুরুত্ব দিতে হবে।
পর্যালোচনা সভায় প্রধান সচিব বরুণ কুমার সাহু বলেন, ত্রিপুরা ফায়ার সার্ভিস অগিসংযোগ, সড়ক দূর্ঘটনা, জলে ডুবে যাওয়া, বাড়ি ভেঙ্গে পড়া, প্রাক’তিক দুর্যোগ ইত্যাদি জরুরী অবস্থায় ফার্স্ট রেসপণ্ডার হিসেবে কাজ করে থাকে৷ গত ১১ আগষ্ট,২০২০ তারিখ এক বি’প্তিমূলে ত্রিপুরা ফায়ার সার্ভিসের নাম পরিবর্তন করে ত্রিপুরা ফায়ার এণ্ড ইমার্জেন্সি সার্ভিস করা হয়েছে৷তিনি জানান, রাজ্যে ১৯৫৭ সালে আগরতলায় প্রথম ফায়ার স্টেশন স্থাপন করা হয়েছিল৷ বর্তমানে রাজ্যে ৪টি ফায়ার ডিভিশন-এর অর্ন্তগত ৪৮টি ফায়ার স্টেশন রয়েছে৷ বাধারঘাটে রয়েছে ১টি কেন্দ্রীয় এম টি ওয়ার্কশপ, সেন্ট্রাল স্টোর, ট্রেনিং সুকল এবং ওয়ারলেস উইং৷
এছাড়াও উদয়পুর ও কৈলাসহরে রয়েছে ২টি ডিভিশনাল এম টি ওয়ার্কশপ৷ প্রধান সচিব আরও জানান, ফায়ার সার্ভিস বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ ফায়ার সার্ভিস আইনের অধীনে পরিচালিত হচ্ছে৷ এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন,বর্তমান ফায়ার সার্ভিস অ্যাক্টকে সংশোধন করে রাজ্যে নিজস্ব ত্রিপুরা ফায়ার সার্ভিস অ্যাক্ট চালু করার উদ্যোগ নেওয়ার জন্য দপ্তরকে উদ্যোগ নিতে হবে৷ এক্ষেত্রে অন্ধ্রপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশের মতো বড় বড় রাজ্যে সর্বশেষ যে অ্যাক্টগুলি রয়েছে সেগুলি পর্যালোচনা করে রাজ্যে ত্রিপুরা ফায়ার সার্ভিস অ্যাক্ট চালু করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী দপ্তরের প্রধান সচিবকে নির্দেশ দেন৷
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, রাজ্যের বর্তমান ফায়ার স্টেশনগুলি ছাড়াও রাজ্যের যেখানে ফায়ার স্টেশন স্থাপন করা অত্যন্ত প্রয়োজন তা চিহ্ণিত করে নতুন ফায়ার স্টেশন নির্মাণের উদ্যোগ নিতে হবে দপ্তরকে৷ এক্ষেত্রে রাজ্যের বড় বড় বাজার এলাকা, ব্যবসায় কেন্দ্র, শিল্পা’ল এবং মাল্টিস্টোরিড বিল্ডিং-এর আশেপাশের স্থানকে প্রাধান্য দিতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী৷