স্টাফ রিপোর্টার, গুয়াহাটি, ২৩ আগস্ট।। অসম ও ত্রিপুরার মধ্যে যাতে কম পরিমাণে আবশ্যিক ও অন্যান্য সামগ্রী আনা-নেওযা করা যেতে পারে, তার জন্য গুয়াহাটি ও আগরতলার মধ্যে রাউন্ড ট্রিপের ভিত্তিতে সময় সারণিতে নির্ধারিত খাকা নির্দিষ্ট সময় অনুসারে সাপ্তাহিক পার্সেল ট্রেন চালাবে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল। এই পার্সেল ট্রেনগুলাে যাতায়াতের পথে মাঝের বহু স্টেশনেই খামবে, যাতে সেই সব অঞ্চলের কৃষক ও ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের মানুষ তাঁদের উৎপাদিত পণ্যমাল সহজেই প্রযােজনীয় গন্তব্যে পৌঁছে দিতে গারেন।
পার্সেল ট্রেনে করে মাল পাঠানাের ব্যাপারে ব্যবসায়ীদের খেকে সম্প্রতি ভাল সাড়া পাওয়া যাওয়ার পর উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল সিদ্ধান্ত নিযেছে, এই ধরনের ট্রেন তারা আরও চালাবে, যাতে ব্যবসায়ীরা তাঁদের মাল সাধারণ মানুষের উদ্দেশে পাঠাতে পারেন। এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় দ্রুত মাল পাঠানাের ক্ষেত্রে ট্রেন-ই এমন এক মাধ্যম যা একান্ত ভাবে পরিবেশের অনুকুল। এই ধরনের পণা পরিবহলকে উৎসাহ দিতে ভারতীয় রেল বেশ কিছু সুযােগ-সুবিধা দিয়ে আসছে।
এপ্রিল মাস থেকে গুয়াহাটি ও আগরতলার মধ্যে ইতিমধ্যে ১৬টি পার্সেল ট্রেন চলাচল করছে। ব্যবসা বাড়ানাের জন্য ছােট ব্যবসায়ীদের কাছে সুবর্ণ এক সুযােগ নিয়ে এসেছে এই পার্সেল ট্রেন গুলো। আগরতলা-মুখী ০০৫৩৯ নং. প্রস্তাবিত পার্সেল ট্রেনটি ২৫.০৮.২০২০ তারিখ থেকে প্রত্যেক মঙ্গলবার সকাল সাতটায় গুয়াহাটি থেকে রওনা হবে এবং একই দিনে রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে আগরতলায় পৌঁছবে। ট্রেনটি আসা-যাওযার পথে জাগিরােড, হোজাই, লংকা, লামডিং , লামডিং জং.. মান্দেরদিসা, বদরপুর, ধর্মনগর ও কুমারঘাট স্টেশনে খামবে, যাতে ট্রেনটিতে মাল ওঠানাে যায় এবং ট্রেন থেকে মাল নামানােও যায়।
অবশ্য, স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মাল পরিবেণর চাহিদার ভিত্তিতে আরও কয়েকটি স্টেশনেও ট্রেনটিকে থামানাে হতে পাবে। মাল পাঠানাের ব্যাপারে বিশদ জানতে আগ্রহী ব্যবসায়ী/কৃষক/গ্রহক এবং সেই সঙ্গে সরকারি সংস্থা/দফতরও সংশ্লিষ্ট স্টেশন ম্যানেজার বা বাণিজ্যিক দফতরের যে-কোনও কর্মকর্তার সঙ্গে যােগাযােগ করতে পারেন। কেউ যদি বিভিন্ন জায়গায় কনসাইনমেন্ট পাঠাতে চান, তাহলে তাঁরাও কেন্দ্রীভূত হেল্পলাইন নম্বর ১৩৮ বা ১৩৯-এ ফোন করে এই পার্সেল ট্রেনগুলাের সুবিধা গ্রহণ করতে পাবেন।
মাল পাঠানাের ব্যাপারে কোনও ধরনের সহায়তার প্রয়ােজন হলে লামডিং ডিভিশনের বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ইউনিটের সঙ্গে যোগাযোগ করা যেতে পারে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গ, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড ও ত্রিপুরা সহ উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের এক্তিয়ার-ভুক্ত বিভিন্ন অংশে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল বহু পার্সেল ট্রেন চালিয়েছে। যেগুলােতে করে আবশ্যিক পণ্য ও ওষুধপত্র আনা-নেওয়া করা হয়েছে। কম সময়ে ও কম খরচে মাল পাঠানাে যায় বলে এই পার্সেল ট্রেনগুলাে খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।