ফুলডুঙসেই ইস্যুতে মিজোরাম-ত্রিপুরা সীমানা নির্ধারণে দৌড়ঝাঁপ

স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ২২ আগস্ট।।ফুলডুঙসেই গ্রামকে নিয়ে ত্রিপুরা ও মিজোরাম প্রশাসনে দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়েছে। বহুদিন ধরে ঝুলে থাকা সীমানা সমস্যা-র সম্ভবত এবার সমাধান হতে চলেছে। ত্রিপুরার মুখ্য সচিব বিষয়টির নিজে তদারকি করছেন। অন্যদিকে, মিজোরাম সরকারের নির্দেশের অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন মামিত জেলা প্রশাসন। অবশ্য, দুই রাজ্যই ফুলডুঙসেই গ্রাম নিজেদের অংশ বলে দাবি করছে। মিজোরামের মামিত জেলার ডেপুটি কমিশনার ড. লালরুজামা-র কথায়, মিজোরাম-ত্রিপুরা সীমানা সংক্রান্ত বিষয়ে উত্তর ত্রিপুরা জেলা শাসকের চিঠি পেয়েছি। মিজোরাম সরকারের নির্দেশের অপেক্ষায় রয়েছি।

জম্পুই হিলস্ ব্লকের অধীন ফুলডুঙসেই গ্রাম মিজোরামের অংশ হিসেবে নথি প্রকাশিত হয়েছে। তাতে ত্রিপুরার নাগরিক ১৩০ জনকে মিজোরামের ভোটার হিসেবে দেখানো হচ্ছে। তাই ত্রিপুরা ও মিজোরামের সঠিক সীমানা নির্ধারণের পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য উত্তর ত্রিপুরার জেলাশাসককে চিঠি দিয়েছিলেন কাঞ্চনপুরের মহকুমাশাসক।

এ-বিষয়ে মামিত জেলার ডেপুটি কমিশনার ড. লালরুজামা বলেন, ওই ভোটার-রা ২০০৮ সাল থেকে মিজোরামে লোকসভা এবং বিধানসভা নির্বাচনে ভোট দিচ্ছেন। কারণ, মিজোরামের ভোটার তালিকায় তাদের নাম রয়েছে। সে মোতাবেক আগামী ২৭ আগস্ট ভিলেজ কমিটি নির্বাচনেও তাঁরা ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। তবে, তাদের-কে নিয়ে সম্প্রতি বিতর্ক দেখা দিয়েছে। বিষয়টি মিজোরাম সরকার-কে জানানো হয়েছে। তাঁদের নির্দেশের অপেক্ষা করা হচ্ছে, বলেন তিনি।

তাঁর কথায়, অনেক সময় দেখা যায়, কোন নাগরিক একাধিক সুযোগ সুবিধা নিচ্ছেন। এ-ক্ষেত্রে ওই ভোটারদের একাধিক সুযোগ নেওয়ার বিষয়ে পরবর্তী সময়ে ব্যবস্থা হবে। তবে, ফুলডুঙসেই গ্রামের সীমানা নিয়ে যে বিতর্ক দেখা দিয়েছে, সে বিষয়ে তিনি বিস্তারিত কিছু বলতে চাননি। শুধু জানিয়েছেন, মিজোরাম-ত্রিপুরা সীমানা সংক্রান্ত বিষয়ে উত্তর ত্রিপুরা জেল শাসকের চিঠি তিনি পেয়েছেন। ইতিমধ্যে ওই চিঠি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন। এখন তিনি মিজোরাম সরকারের নির্দেশের অপেক্ষা করছেন। তিনি বলেন, ফুলডুঙসেই গ্রামে ওই সীমানা নিয়ে মিজোরাম সরকারের নির্দেশ মোতাবেক ব্যবস্থা করা হবে।

এদিকে, ত্রিপুরা সরকারও এখন ওই সমস্যার সমাধানে নড়েচড়ে বসেছে। এ-বিষয়ে রাজস্ব মন্ত্রী নরেন্দ্র চন্দ্র দেববর্মা বলেন, জম্পুই হিলস-র ফুলডুঙসেই গ্রাম ত্রিপুরার অংশ। ফলে, মিজোরামের অংশ হিসেবে কিভাবে দেখানো হচ্ছে, তা খোঁজ দিয়ে দেখবে রাজস্ব দফতর। তিনি বলেন, এ-বিষয়ে মিজোরাম সরকারের সাথে আলোচনা করার প্রক্রিয়া শুরু করবে ত্রিপুরা সরকার। শীগ্রই ওই সমস্যার স্থায়ী সমাধান করা হবে, বলেন তিনি।ইতিমধ্যে, মুখ্য সচিব-কে সরাসরি বিষয়টি দেখার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি নিজেই সমস্ত কিছুর তদারকি করবেন বলে সচিবালয় সূত্রে খবর।

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

চ্যাট খুলুন
1
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠান
হেলো, 👋
natun.in আপনাকে কিভাবে সহায়তা করতে পারে?