স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ১৪ আগস্ট।। সিঙ্গেল উইন্ডো সিসটেম ত্রিপুরাতে লাগু করা কোন সহজ কাজ নয়। ভারতবর্ষের যে রাজ্য গুলি পরিকাঠামো এবং শিল্প ক্ষেত্রে অনেক আগে থেকে প্রতিষ্ঠিত সেই সমস্ত রাজ্যে এই ব্যবস্থা অনেকাংশে লাগু রয়েছে। উত্তর পূর্বাঞ্চলের আটটি রাজ্যের মধ্যে ত্রিপুরাই একমাত্র রাজ্য যেখানে সিঙ্গেল উইন্ডো সিস্টেম এদিন থেকে লাগু হয়েছে।
এটা প্রথম প্রচেষ্টা। তাঁর মধ্যে ১৬ টি দপ্তরের ৫৩ টি অনুমতি এখন থেকে এক সঙ্গে মিলবে অন লাইনে। টি আই ডি সি-র স্বোয়াগত নামে অফিস থেকে অনায়েসে যারা শিল্প উদ্যোগী বাঁ এম এস এম ই- সেক্টারে কাজ করতে চাইছে , ছোট বাঁ বড় প্রকল্প করতে চাইছে , তারা অনায়াসে এক জায়গা থেকে অতিসহজে সেই কাজটা অন লাইনের মাধ্যমে করতে পারবেন।
কোন রাজ্যকে উন্নতির পথে ও আর্থিক ব্যবস্থার উন্নতি ঘটাতে হলে তার রাস্তা সুগম করতে হয়। রাস্তা আটকালে সেই সরকার , রাজ্য কোন ভাবেই উন্নয়নের মূল মাপকাঠিতে পৌছুতে পারবে না। নতুন সরকার নতুন নতুন পরিকল্পনা নিয়েছে। স্ব রোজগারী রাজ্যে বেড়েছে। স্ব ভিমানী মানসিকতা আজকে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে।
যুবকরা নিজে উদ্যোগী হতে চায়। শিল্প ও এম এস এম ই-র সংখ্যা বেড়েছে। বিগত দুই বছর আট মাসে স্ব উদ্যোগীর সংখ্যা বেড়েছে। এই স্ব উদ্যোগীর সংখ্যা বাড়া মানে রাজ্যের আর্থিক উন্নয়ন। এটাই উন্নয়নের মাপকাঠি। এই সিঙ্গেল উইন্ডো সিস্টেমের ফলে সরকারী ব্যবস্থার মধ্যে যে জটিল ব্যবস্থাপনা ছিল তার অবসান ঘটেছে।
এটা আগে কেউ কল্পনা করেনি। রাজ্য সরকার শিল্প ক্ষেত্রে উদ্যোগী হওয়ার জন্য শিল্প দপ্তর ও টি আই ডি সি থেকে ২৫ শতাংশ ছাড় দেওয়া হচ্ছে। ভারতবর্ষের মধ্যে সব চাইতে সস্তায় বিদ্যুৎ ও জল দেওয়ার জন্য আরো ২৫ শতাংশ বিদ্যুৎ-এর ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে করে ছাড়ের ক্ষেত্রে তিন চার রাজ্যের মধ্যে স্থান করে নেবে ত্রিপুরা।
শুক্রবার মহাকরণে স্বওয়াগত সিঙ্গেল উইন্ডো পোর্টালের সূচনা করে এই কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। শিল্প ক্ষেত্রে জন্য এই সিঙ্গেল উইন্ডো পোর্টাল আগামী দিনে দারুন সহায়ক ভূমিকা নেবে বলে আশা ব্যক্ত করেন মুখ্যমন্ত্রী।এর মাধ্যমে শিল্প উন্নয়ন হবে, অন্যদিকে স্ব ভিমানী মানসিকতা বৃদ্ধি পাবে ও সঙ্গে সঙ্গে পারকেপিটা ইনকাম বাড়ার ফলে ত্রিপুরার মানুষ আগের চাইতে আরো বেশী লাভান্বিত হবে বলে আশা ব্যক্ত করেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব।
এই সিঙ্গেল উইন্ডো সিস্টেম চালু করার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে ধন্যবাদ জানান তিনি। স্বাধীনতা দিবসের প্রাক মহুর্তে এই পরিষেবা দিতে সক্ষম হওয়ার জন্য অভিনন্দন জানান মুখ্যমন্ত্রী। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন টি আই ডি সি-র চেয়ারম্যান টিঙ্কু রায় সহ অন্যান্য দপ্তরের আধিকারিকেরা।