স্টাফ রিপোর্টার, পাথারকান্দি, ২৮ জুলাই।। ত্রিপুরা আসাম সীমান্তসংলগ্ন পাথারকান্দি থানা এলাকার বুবরিখাই বাগানে গণধোলাইয়ে নিহত ৩ বাংলাদেশি চোরের মৃতদেহ বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা ফেরত নিতে রাজি না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত স্থানীয় কবরস্থানে কবর দেওয়া হয়। স্থানীয় জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে পুলিশের পদস্থ আধিকারিকরা এই মৃতদেহগুলি খবর দেন।
উল্লেখ্য গরুচোর সন্দেহে গণধোলাই নিহত হয়েছিল ওই তিন ব্যক্তি। ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ানদের দাবী তারা বাংলাদেশী। গরু চুরি করতে এসে গণধোলাইয়ে প্রাণ হারিয়েছিল ওই তিনজন ।গণধোলাইয়ে নিহত তিন বাংলাদেশি নাগরিকের মৃতদেহ বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর জন্য বিএসএফ এবং বিজিবি মধ্যে চারবার পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু বিজিবি বাংলাদেশের ফেরত নিতে অস্বীকার করে। নিহতরা বাংলাদেশি নাগরিক নয় বলেও বিজেপির পক্ষ থেকে বারবার দাবি করা হয়।
পরপর চারবার পতাকা বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার পর বাধ্য হয়েই বিএসএফ মৃতদেহগুলো সৎকারের জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করতে প্রশাসনের কাছে দাবি জানায়। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে শেষপর্যন্ত নাম গোত্রহীন অজ্ঞাত পরিচয় ওই তিন যুবকের মৃতদেহ সৎকারের উদ্যোগ নেয় প্রশাসন। জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে স্থানীয় কবরস্থানে তাদের কবর দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য ত্রিপুরা আসাম সীমান্ত-সংলগ্ন পাথারকান্দি থানা এলাকাসহ পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলোতে বাংলাদেশি চোরের দৌরাত্ম্য বেশ কিছুদিন ধরেই চরম আকার ধারণ করেছে।ওইসব সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারী ভারতীয় নাগরিকরা জীবন সম্পত্তি রক্ষা করতে গিয়ে জটিল সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। রাত জেগে পাহারা দিয়েও তারা সম্পদ রক্ষা করতে পারছেন না। শেষ পর্যন্ত ক্ষোভের বসেই গ্রামবাসীরা ৩ বাংলাদেশিকে পিটিয়ে হত্যা করেন।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সীমান্তবর্তী এলাকায় এখনো টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘটনার পর থেকে সীমান্ত এলাকায় বিএসএফের টহল বাড়ানো হয়েছে। পরিস্থিতির দিকে সতর্ক দৃষ্টি রেখে চলেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ জনিত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ থেকে যেকোনো ধরনের অনুপ্রবেশ বিএসএফকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে প্রশাসনের তরফ থেকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।