স্টাফ রিপোর্টার, বিশালগড়, ২৮ জুলাই।। এবার ত্রিপুরা প্রশাসনের শীর্ষস্তরে থাবা বসিয়েছে করোনা। সিপাহিজলার জেলাশাসক চন্দন কুমার জমাতিয়া করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁর রিপোর্ট আসার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সিপাহিজলার পুলিশ সুপার কৃষ্ণেন্দু চক্রবর্তীর কোভিড-১৯ রিপোর্টও পজিটিভ এসেছে। শুধু তা-ই নয়, সিপাহিজলা জেলাশাসকের কার্যালয়ের আরও সাতজন কর্মচারীর দেহেও করোনা-র সংক্রমণ মিলেছে।
এ-বিষয়ে মঙ্গলবার সিপাহিজলা জেলাশাসক জানিয়েছেন, সকাল থেকে জ্বর এবং শরীরে ব্যথা অনুভব করছিলেন তিনি। তাই তিনি অ্যান্টিজেন টেস্ট করিয়েছিলেন। তাতে রিপোর্ট পজিটিভ আসে। বিশালগড় মহকুমা হাসপাতালে আজ তাঁর পরীক্ষা হয়েছে।
এদিকে, জেলাশাসকের করোনা আক্রান্তের খবরে সিপাহিজলার পুলিশ সুপার কৃষ্ণেন্দু চক্রবর্তীও অ্যান্টিজেন টেস্ট করেছেন। কৃষ্ণেন্দুবাবু জানিয়েছেন, গতকাল জেলাশাসকের সাথে বৈঠক করেছিলেন। তাই তিনি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে গিয়েছেন। সাথে জেলাশাসক কার্যালয়ের সাতজনেরও অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হয়েছে। পুলিশ সুপার সহ ওই সাতজনের কোভিড-১৯ রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। ওই সাত কর্মী জেলাশাসকের সংস্পর্শে ছিলেন। এদিকে আরও কয়েকজনের পরীক্ষা বাকি রয়েছে। তাঁদেরও শীঘ্রই পরীক্ষা করা হবে।
প্রসঙ্গত, করোনা ক্রমশ ত্রিপুরায় ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। সিপাহিজলার অতিরিক্ত জেলাশাসক উদয়ন সিনহা জানিয়েছেন, জেলাশাসক কার্যালয়কে প্রায় প্রতিদিন স্যানিটাইজ করা হয়। এখন আরও ভালোভাবে স্যানিটাইজ করা হবে। জেলাশাসকের সংস্পর্শে যাঁরা ছিলেন তাঁদের সকলের রিপোর্ট আসার পর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তিনি জানান, রোস্টার মেনে জেলাশাসক কার্যালয়ে কর্মীরা আসছেন। সে-ক্ষেত্রে এখন অফিস পুরোপুরি বন্ধ করা প্রয়োজন কিনা তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবেন।