স্টাফ রিপোর্টার, তেলিয়ামুড়া, ২৩ জুলাই।। তেলিয়ামুড়া থানা এলাকার খাসিয়ামঙ্গলের তুইমধু এলাকায় চার ধর্ষণকারীর বাড়িঘরে হামলা ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ করেছেন উত্তেজিত জনতা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় তীব্র ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় এলাকায় পুলিশ ও নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, রুপেশ সরকার নামে এক যুবকের সঙ্গে প্রতিবেশী এক নাবালিকার প্রনয়ের সম্পর্ক ছিল। সম্পর্কের সুবাদে রুপেশ ওই নাবালিকাকে নিয়ে চাকমা ঘাটস্থিত ইকো পার্কে বেড়াতে যায়। কিছুক্ষণ গল্প করার পর রুপেশ সরকার চাকমা ঘাট অটো স্ট্যান্ড এ নিয়ে যায় ওই নাবালিকা প্রেমিকাকে।সেখানে রুপেশের পরিচিত কাশেম মিয়া ,জাহেদ মীয়া ও আরো দুজন গাড়ি নিয়ে অপেক্ষা করছিল। সেখান থেকেই নাবালিকাকে তার বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার নাম করে খাসিয়া মঙ্গলের একটি জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে। অপরদিকে রুপেশ বাইক নিয়ে বাড়িতে চলে যায়। গণধর্ষণের পর নাবালিকাকে মহারানীস্থিত ইউবিআই ব্যাংক সংলগ্ন স্থানে রাত আটটা নাগাদ রাস্তায় ফেলে দিয়ে আসে।গণধর্ষণের পর নাবালিকাকে মহারানী পরিচিত ইউবিআই ব্যাংক সংলগ্ন স্থানে ফেলে দেওয়ার পর অসহায় নাবালিকা তার প্রেমিকার মোবাইলে ফোন করে সেখানে যাওয়ার অনুরোধ জানায়। খবর পেয়ে রুপেশ সেখানে গেলে ঘটনাটি তাকে জানায় তার প্রেমিকা। সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়। ঘটনার খবর পেয়ে মহকুমা পুলিশ আধিকারিক এবং থানার ওসি চাকমা ঘাট এবং তুইমধু এলাকায় অভিযুক্তদের সন্ধানে তল্লাশি শুরু করেন। রাজ্যের সব থানাকে এ বিষয়ে অবহিত করে অভিযুক্তদের দিকে নজর রাখার বার্তা পাঠানো হয়। পুলিশের ব্যাপক তৎপরতা সত্ত্বেও এখনো পর্যন্ত অভিযুক্তদের টিকির নাগাল মিলেনি। এদিকে নাবালিকা গণধর্ষণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। এরই প্রতিবাদে ক্ষুব্ধ জনতা তুইমধু এলাকায় ধর্ষণকারীদের বাড়িঘরে হামলা ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ করেছেন। ঘটনার জল আরো বহুদূর গড়ানোর সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।পুলিশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন গণধর্ষণে জড়িতদের গ্রেপ্তার এবং কঠোর শাস্তি মূলক ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। যেকোনো মূল্যে তাদেরকে গ্রেফতার করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উল্লেখ্য রাজ্যে খুন ধর্ষণ এবং শ্লীলতাহানীর ঘটনা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। জননিরাপত্তা নিয়ে জনমনে সংশয় ক্রমশই বেড়ে চলেছে।