বণিক্য চৌমুহনীতে নৃশংসভাবে খুন হলেন এক গৃহবধূ, কাঠগড়ায় স্বামী

নতুন প্রতিনিধি, আগরতলা, ১০ জুলাই।। বৃহস্পতিবার রাতে বোধজংনগর থানাধীন বণিক্য চৌমুহনীতে নৃশংসভাবে খুন হলেন এক গৃহবধূ। মৃতার নাম শিউলি মজুমদার রায় ওরফে মামুন মজুমদার(৩৪)। স্বামীর নাম অমিত রায়। বনিক্য চৌমুহনীতে বিলিতি মদের দোকানের পাশেই মহিলার ফাস্টফুডের দোকান ছিল। এই দোকানেই বৃহস্পতিবার রাত দশটা নাগাদ মহিলাকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে। তাকে দা দিয়ে একাধিকবার কুপিয়ে খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে।মৃতার গলায় এবং শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন ছিল। অপেক্ষাকৃত জনবহুল এলাকা হওয়া সত্বেও মহিলার প্রাণ রক্ষাযর চিৎকার শুনে আশেপাশে বাড়িঘর থাকে কেউ বের হননি সাহায্যের জন্য। ঘটনার খবর পেয়ে রাতে বোধজংনগর থানার পুলিশ সহ এনসিসি মহকুমা পুলিশ আধিকারিক ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু করেন। প্রাথমিক তদন্ত শেষে রাত একটা নাগাদ মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায় পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের দাবি মৃত শিউলি মজুমদার এবং তার স্বামী অমিত রায় এর মধ্যে ঝামেলা চলছিল। গত এক বছর যাবত স্বামী স্ত্রী একই এলাকায় থাকলেও পৃথক পৃথক বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। শিউলি মজুমদার নিজের 5 বছরের ছেলেকে নিয়ে মায়ের সাথে ভাড়া থাকতেন বনিক্য চৌমুনীতে। এক কিলোমিটার দূরে একা ভাড়া থাকতেন স্বামী অমিত রায়। পুলিশের দাবি স্বামী অমিত রায়ই শিউলি মজুমদারকে খুন করেছে। পারিবারিক বিবাদ এবং সন্দেহের জেরে খুন বলে পুলিশের প্রাথমিক দাবি। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত স্বামী অমিত রায় পলাতক রয়েছেন। শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত পুলিশ তাকে ধরতে পারেনি। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকাতে আতঙ্ক এবং চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে থানা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে। সন্ধ্যা রাতে গৃহবধূকে নিশংস ভাবে কুপিয়ে খুনের পরও কেন মহিলার চিৎকার শুনে কেউ বাড়ি থেকে বের হতে সাহস পাননি তা ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। এলাকাতে বিগত দিনের অপরাধের ঘটনায় আতঙ্কের মধ্যে ডুবে থাকা মানুষ মহিলাকে সাহায্যের জন্য ঘর থেকে বের হননি বলে স্থানীয় মহলের দাবি। এই ঘটনা আইনশৃংখলার চরম অবনতি পরিচয় বহন করছে বলে তথ্য বিজ্ঞ মহিলার অভিযোগ।

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

চ্যাট খুলুন
1
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠান
হেলো, 👋
natun.in আপনাকে কিভাবে সহায়তা করতে পারে?