নতুন প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৩ জুন।। ৭ দফা দাবিতে রাজধানী আগরতলা শহরের কর্ণেল চৌমুহনীতে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ সংগঠিত করেছে গণমুক্তি পরিষদ। গণমুক্তি পরিষদ এর রাজ্য সভাপতি তথা প্রাক্তন সাংসদ জিতেন্দ্র চৌধুরীর নেতৃত্বে প্লেকার্ড গলায় ঝুলিয়ে তারা প্রায় একঘন্টা প্রতিবাদ আন্দোলন সংগঠিত করেন। প্রতিবাদ-বিক্ষোভ আন্দোলনে অংশ নিয়ে গণমুক্তি পরিষদের রাজ্য সভাপতি তথা প্রাক্তন সাংসদ জিতেন্দ্র চৌধুরী বলেন, গত ১৭ তারিখ থেকে রাজ্যের বিভিন্ন ভিলেজ কমিটি এবং পঞ্চায়েত এলাকায় বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলন সংঘটিত করেছে। দাবিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো যেসব পরিবার সরকারকে ট্যাক্স দেয় না তাদের প্রত্যেক পরিবারকে সরকারের তরফ থেকে বিনামূল্যে চাল সরবরাহ করতে হবে। প্রতিটি গরিব পরিবারকে ৬ মাস পর্যন্ত মাসে সাড়ে সাত হাজার টাকা করে অ্যাকাউন্টে প্রদান করতে হবে। গ্রামীণ এলাকায় রেগা প্রকল্পে বছরে ২০০দিন কাজ এবং শহর এলাকায় টুয়েপ প্রকল্পে কাজের ব্যবস্থা করতে হবে। দৈনিক মজুরি ৩০০ টাকা করতে হবে। মঙ্গলবার আগরতলায় গণমুক্তি পরিষদ রাজ্য কমিটির পক্ষ থেকে রাজ্যভিত্তিক প্রতিবাদ আন্দোলন কর্মসূচি সংগঠিত করা হয়। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে আন্দোলনে শামিল হন গণমুক্তি পরিষদের নেতা-কর্মী-সমর্থকরা। আন্দোলনে শামিল হয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কোন মুক্তি পরিষদের রাজ্য সভাপতি তথা প্রাক্তন সাংসদ জিতেন্দ্র চৌধুরী বলেন বর্তমানে দেশে চরম অর্থনৈতিক বিপর্যয় চলেছে। আমাদের রাজ্য চরম অর্থনৈতিক সংকটের মুখে পড়েছে। গ্রাম পাহাড়ে বিশেষ করে উপজাতী অংশের মানুষ সবচেয়ে বেশি সংকটের সম্মুখীন হয়েছেন। ওইসব এলাকায় দুর্ভিক্ষ শুরু হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। জুমিয়া পরিবারগুলো পথে অনাহার অর্ধাহার নিত্যদিনের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ জনিত পরিস্থিতিতে এই সঙ্কট তৈরি হওয়ায় কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকারকে গরিব অংশের মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য তিনি আহ্বান জানিয়েছেন। লক ডাউন ঘোষণার পদ্ধতি নিয়েও তিনি কেন্দ্রীয় সরকারকে রীতিমতো তুলোধুনো করেছেন। তিনি বলেন গোটা বিশ্বজুড়েই করোনাভাইরাস সংক্রমণজনিত পরিস্থিতিতে লকডাউন ঘোষণা করা অবশ্যম্ভাবী হয়ে উঠেছে। কিন্তু এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম মেনে লকডাউন ঘোষণা করা উচিত ছিল বলেও তিনি মন্তব্য করেন।