নতুন প্রতিনিধি, আগরতলা, ২০ জুন।। ত্রিপুরা স্টেট রাইফেলস-র আর কে নগর ব্যারাক করোনা ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ঘোষিত হয়েছে। পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার জেলাশাসক এক আদেশ বলে জিরানিয়া মহকুমার মান্দায় ব্লকের লক্ষীপুর ভিলেজের দ্বিতীয় ব্যাটেলিয়ান টি এস আর ক্যাম্পের আর কে নগর ব্যারাককে করোনা ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ঘােষণা করেছেন। পরবর্তী আদেশ না পাওয়া পর্যন্ত বর্তমান আদেশ বলবৎ থাকবে। ওই এলাকার এক কিলােমিটার ব্যাসার্ধ বাফার জোন ঘােষণা করা হয়েছে। জেলা শাসকের আদেশ অনুসারে, করোনা ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার নিয়ম লঙ্ঘনকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে, সিপাহীজলা জেলার বিভিন্ন স্থানে করোনা ভাইরাস প্রতিরােধে ব্যাপক প্রচার শুরু করা হয়েছে। কারণ, ত্রিপুরায় সবচেয়ে বেশি করোনা আক্রান্ত সিপাহীজলায় রয়েছেন। করোনা প্রতিরোধে সিপাহীজলা জেলার বিভিন্ন স্থানে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের পক্ষ থেকে মাইক যােগে ব্যাপক প্রচার সংগঠিত করা হচ্ছে।
গত ১৮ জুন জেলার করোনা ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসেবে ঘােষিত নলছড় ব্লকের কালীবাজার, তুই ঝিলিক, দুর্লভ নারায়ণ, সোনামুড়া ব্রীজ চৌমুহনী, কাঠালিয়া ব্লকের বেজিমারা, প্ৰভাপুর, নিদয়া, কাঠালিয়া, ভবানীপুর ও কালাপানিয়া, বক্সনগর ব্লকের মতিনগর, বাবার, সোনামুড়া, বক্সনগর, কলমখেত, এন সি নগর ও ভেলুয়ারচর ইত্যাদি এলাকায় এলাকার মানুষকে সচেতন করতে মাইক যোগে প্রচার করা হয়। ১৯ জুন প্রচার করা হয়েছে বক্সনগর ব্লকের কমলনগর, রহিমপুর, পুটিয়া, মানিকনগর, পূর্ব আড়ালিয়া, কুলু বাড়ি, খােদা বাড়ি ইত্যাদি এলাকায়। প্রচার চলাকালীন এলাকার মানুষকে করোনা ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বিধিনিষেধ গুলি যথাযথ ভাবে মেনে চলতে অনুরােধ জানানাে হয়েছে এবং সচেতনতামূলক বিভিন্ন পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এদিকে, সিপাহীজলা জেলার জেলাশাসকের নেতৃত্ব জেলার সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রতিনিধিগণও সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলি সফর করে জনসাধারণের সাথে কথা বলে বিভিন্ন বিষয়ে খোঁজ খবর নেন। এছাড়া এলাকার আশা কর্মী সহ অন্যান্য স্বাস্থ্য কর্মীগণও বাড়ি বাড়ি গিয়ে এলাকার মানুষের স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট বিষয়ে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছেন।