নতুন প্রতিনিধি, গুয়াহাটি, ২০ জুন।। নোভেল করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রুখতে নিখুঁত নমুনা যাচাই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই লক্ষ্যে গুয়াহাটির ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজি আরআর অ্যানিমেল হেলথ কেয়ার লিমিটেড এবং গুয়াহাটি মেডিকেল কলেজ তথা হাসপাতালের সহযোগিতায় স্বল্প মূল্যের এই নমুনা পরীক্ষার কিটগুলি উদ্ভাবন করেছে। প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ভাইরাল ট্রান্সপোর্ট মিডিয়া কিট, আরটি-পিসিআর কিট এবং আরএনএ আইসোলেশন কিট উদ্ভাবন করা হয়েছে। একজন ব্যক্তির নাক ও মুখ থেকে নির্গত লালা বিশেষ ধরনের স্পঞ্জে সংগ্রহ করে রাখার ক্ষেত্রে ভাইরাল ট্রান্সপোর্ট মিডিয়া কিটগুলি অত্যন্ত কার্যকর। এ ধরনের কিটের সাহায্যে সংগৃহীত লালারস পরীক্ষাগারে নিয়ে আসা পর্যন্ত সম্পূর্ণ সুরক্ষিত থাকবে। পরীক্ষাগারে নিয়ে আসা পর্যন্ত সংগৃহীত ঐ লালারসে যদি ভাইরাসের উপস্থিতি থাকে, তা সমগ্র নমুনা পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত অক্ষত থাকবে। আইআইটি গুয়াহাটির অধ্যাপক পরমেশ্বর কৃষ্ণণ আইয়ার এই কিট সম্পর্কে জানিয়েছেন, খরচ কমাতে স্থানীয় বাজার থেকে সহজপ্রাপ্য সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে। অবশ্য, কিট উদ্ভাবনের সময় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র সমস্ত নীতি-নির্দেশিকা মেনে চলা হয়েছে। ইতিমধ্যেই এ ধরনের দুটি কিট আসামে জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন কর্তৃপক্ষ এবং গুয়াহাটি মেডিকেল কলেজকে দেওয়া হয়েছে। ভাইরাল ট্রান্সপোর্ট মিডিয়া কিটগুলিকে নমুনা সংগ্রহের জন্য যে স্পঞ্জ জাতীয় সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে, তা ইতিমধ্যেই সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে গুণমান যাচাই করে নেওয়া হয়েছে। তাই, এ ধরনের কিটে সংগৃহীত নমুনা দীর্ঘ সময় পরিবহণ করে নিয়ে আসার পরও নমুনার জিনগত উপাদানগুলি অটুট থাকবে। এমনকি, ৭২ ঘন্টা পর্যন্ত রেফ্রিজেরেটরের তাপমাত্রায় সংগৃহীত নমুনা সংরক্ষণ করে রাখা যাবে। অধ্যাপক আইয়ার আরও বলেন, এই কিটগুলি আসামে উচ্চ গুণমানবিশিষ্ট স্বাস্থ্য পরিচর্যার সামগ্রী সুলভে উৎপাদনে আরও গতি আনবে। সেই সঙ্গে, কিটগুলির আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে চিকিৎসা পরিষেবার প্রত্যাশিত ফল পাওয়া যাবে। ইতিমধ্যেই ভাইরাল ট্রান্সপোর্ট মিডিয়া কিট সহ আরটি-পিসিআর এবং আরএনএ আইসোলেশন কিট উৎপাদন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, যাতে আসামে এ ধরনের কিটের চাহিদা মেটানো যায়।