নতুন প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৭ জুন৷৷ রাজ্যে আবারও বিএসএফ পরিবারে করোনার থাবা৷ আজ নতুন করে ৪৩ জনের দেহে করোনার সংক্রমণ মিলেছে৷ তাদের মধ্যে ৩৯ জন বিএসএফ জওয়ান রয়েছে৷ তারা সকলেই বহিঃরাজ্য থেকে ফিরেছেন৷ বাকি চারজনেরও বহিঃরাজ্য সফরের তথ্য রয়েছে৷ আজ রাতে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব এক ট্যুইট বার্তায় জানান, ১২৫০টি নমুনা পরীক্ষায় ৪৩ জনের দেহে করোনার সংক্রমণ মিলেছে৷ তাদের মধ্যে বিএসএফ ৩৪ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের ৩ জন, বিএসএফ ১৬৪ ব্যাটেলিয়ানের ৬ জন, বিএসএফ ১২০ ব্যাটেলিয়ানের ৪ জন, বিএসএফ ৭৪ ব্যাটেলিয়ানে ২৬ জন এবং বাকি ৪ জন বহিঃরাজ্য সফর করে এসেছেন৷ তিনি আরও জানান, আজ করোনা আক্রান্তদের মধ্যে পশ্চিম জেলায় ৩০ জন, গোমতী জেলায় ১০ জন, দক্ষিণ জেলায় ২ জন এবং সিপাহীজলা জেলার ১ জন রয়েছে৷ তাতে, এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ১১৩৮ জন করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন৷ এর মধ্যে ৫৫৬ জন সুস্থ হয়েছেন৷ প্রসঙ্গত, ত্রিপুরায় করোনা সংক্রমণের গ্রাফ কিছুটা নিম্নমুখি হয়ে আজ পুনরায় গতি ধরেছে৷ তবে, সুস্থ হওয়ার হার ক্রমশ বাড়ছে৷ সেক্ষেত্রে শুধু সিপাহিজলা জেলা কিছুটা চিন্তায় রেখেছে ত্রিপুরা সরকারকে৷ কারণ, সারা ত্রিপুরার মধ্যে সিপাহিজলা জেলা সংক্রমণের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে৷ তবে ত্রিপুরার প্রবেশদ্বার চোরাইবাড়ি হওয়া সত্ত্বেও উত্তর ত্রিপুরায় সংক্রমণের হার সবচেয়ে কম৷ তাতে স্পষ্ট, সড়কপথে ত্রিপুরায় আগতদের তুলনায় ট্রেনে ফেরত রাজ্যবাসীর দেহেই সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ মিলেছে৷ গতকাল ১২৩ জন করোনা আক্রান্তের কোভিড-১৯ নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে৷ তাদের মধ্যে আগরতলা সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও জিবি হাসপাতালে ভরতি রয়েছেন ৬৪ জন এবং হাপানিয়া কোভিড কেয়ার সেন্টারে রয়েছেন ৫৯ জন৷ সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীদের আজ ছুটি দেওয়া হয়েছে৷ গত কয়েকদিনের সংক্রমণের তথ্য ঘেঁটে দেখা গেছে, পর্যায়ক্রমে আক্রান্তের সংখ্যা নিম্নমুখি ছিল৷ গত ১২ জুন ৪৮ জন, ১৩ জুন ৮২ জন, ১৪ জুন ৩৩ জন, ১৫ জুন ১০ জন এবং গতকাল ১৬ জুন ৬ জনের দেহে করোনা-র সংক্রমণ মিলেছে৷ তেমনি, গত ১৪ জুন ১১৮ জন এবং ১৬ জুন ১২৩ জন করোনা আক্রান্ত সুস্থ হয়ে উঠেছেন৷ কিন্তু, আজ পুনরায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা গত কয়েকদিনের তুলনায় অত্যাধিক পাওয়া গিয়েছে৷
স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের কথায়, রেল যাত্রীদের নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা কমছে সেই সাথে আক্রান্তের হার নিম্নমুখি হয়েছে৷ আপাতত, অসমের পাহাড় লাইনে ধস পড়ে রেল পরিষেবা স্তব্ধ হয়ে রয়েছে৷ কিন্তু পুনরায় রেল চালু হলে করোনা সংক্রমণের হার বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে৷ কিন্তু, এখন বিমানযাত্রীদের মধ্যে সংক্রমণের হার কিছুটা বেড়েছে৷ এদিকে, এখন পর্যন্ত ত্রিপুরার সিপাহিজলা জেলায় সবচেয়ে বেশি করোনা আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে৷ সরকারি তথ্য অনুযায়ী, সিপাহিজলা জেলায় ৫২৩ জন করোনা আক্রান্তদের মধ্যে ১৩৬ জন সুস্থ হয়েছেন৷ ধলাই জেলায় ২০১ জন করোনা আক্রান্তদের মধ্যে ১৮৪ জন সুস্থ হয়েছেন৷ গোমতি জেলায় ১১২ জন করোনা আক্রান্তদের মধ্যে ৬১ জন সুস্থ হয়েছেন৷ পশ্চিম জেলায় ১১৯ জন করোনা আক্রান্তদের মধ্যে ৪১ জন সুস্থ এবং ১ জন প্রয়াত হয়েছেন৷ দক্ষিণ জেলায় ৮০ জন করোনা সংক্রমিতের মধ্যে ৫৭ জন সুস্থ হয়েছেন৷ ঊনকোটি জেলায় ৫৯ জন করোনা সংক্রমিতের মধ্যে ৪৫ জন সুস্থ, খোয়াই জেলায় ৩০ জন করোনা সংক্রমিতের মধ্যে ২৩ জন সুস্থ এবং উত্তর ত্রিপুরা জেলায় ১৪ জন করোনা সংক্রমিতের মধ্যে ৯ জন সুস্থ হয়েছেন৷