নতুন প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৭ জুন।। ত্রিপুরায় করোনা সংক্রমণের গ্রাফ আপাতত কিছুটা নিম্নমুখি রয়েছে। তার সাথে সুস্থ হওয়ার হার ক্রমশ বাড়ছে। সেক্ষেত্রে শুধু সিপাহিজলা জেলা কিছুটা চিন্তায় রেখেছে ত্রিপুরা সরকারকে। কারণ, সারা ত্রিপুরার মধ্যে সিপাহিজলা জেলা সংক্রমণের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে। তবে ত্রিপুরার প্রবেশদ্বার চোরাইবাড়ি হওয়া সত্ত্বেও উত্তর ত্রিপুরায় সংক্রমণের হার সবচেয়ে কম। তাতে স্পষ্ট, সড়কপথে ত্রিপুরায় আগতদের তুলনায় ট্রেনে ফেরত রাজ্যবাসীর দেহেই সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ মিলেছে। জানা গেছে, এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১০৯৫ এবং সুস্থ হয়েছেন ৪৩৩ জন। ত্রিপুরায় নতুন করে ছয়জনের দেহে করোনার সংক্রমণ মিলেছে৷ তবে এর সঙ্গি স্বস্তির খবরও রয়েছে। একদিনে ১২৩ জন করোনা আক্রান্তের কোভিড-১৯ রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে৷ তাদের আজ বুধবার ছুটি দেওয়া হবে৷ মঙ্গলবার রাতে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব পর পর দুটি ট্যুইট করে করোনা আক্রান্তের সন্ধান এবং রোগীর সুস্থ হওয়ার খবর দিয়েছেন৷ মুখ্যমন্ত্রী জানান, ১,০২৩টি নমুনা পরীক্ষায় ৬ জনের কোভিড-১৯ রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে৷ তারা সকলেই সিপাহিজলার বাসিন্দা এবং তাঁদের বহিঃরাজ্য সফরের তথ্য রয়েছে৷ এদিন তিনি পুনরায় ট্যুইট করে জানান, ত্রিপুরাবাসীর জন্য খুশির খবর রয়েছে। ১২৩ জন করোনা আক্রান্তের কোভিড-১৯ নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে৷ তাদের মধ্যে আগরতলা সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও জিবি হাসপাতালে ভরতি রয়েছেন ৬৪ জন এবং হাপানিয়া কোভিড কেয়ার সেন্টারে রয়েছেন ৫৯ জন৷ তিনি বলেন, সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীদের আজ ছুটি দেওয়া হবে৷ গত কয়েকদিনের সংক্রমণের তথ্য ঘেঁটে দেখা গেছে, পর্যায়ক্রমে আক্রান্তের সংখ্যা নিম্নমুখি হয়েছে। গত ১২ জুন ৪৮ জন, ১৩ জুন ৮২ জন, ১৪ জুন ৩৩ জন, ১৫ জুন ১০ জন এবং গতকাল ১৬ জুন ৬ জনের দেহে করোনা-র সংক্রমণ মিলেছে। তেমনি, গত ১৪ জুন ১১৮ জন এবং ১৬ জুন ১২৩ জন করোনা আক্রান্ত সুস্থ হয়ে উঠেছেন। স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের কথায়, রেল যাত্রীদের নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা কমছে সেই সাথে আক্রান্তের হার নিম্নমুখি হয়েছে। আপাতত, অসমের পাহাড় লাইনে ধস পড়ে রেল পরিষেবা স্তব্ধ হয়ে রয়েছে। কিন্তু পুনরায় রেল চালু হলে করোনা সংক্রমণের হার বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এদিকে, এখন পর্যন্ত ত্রিপুরার সিপাহিজলা জেলায় সবচেয়ে বেশি করোনা আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, সিপাহিজলা জেলায় ৫২২ জন করোনা আক্রান্তদের মধ্যে ৯৯ জন সুস্থ হয়েছেন। ধলাই জেলায় ২০১ জন করোনা আক্রান্তদের মধ্যে ১৭৬ জন সুস্থ হয়েছেন। গোমতি জেলায় ১০২ জন করোনা আক্রান্তদের মধ্যে ৪০ জন সুস্থ হয়েছেন। পশ্চিম জেলায় ৮৯ জন করোনা আক্রান্তদের মধ্যে ২০ জন সুস্থ এবং ১ জন প্রয়াত হয়েছেন। দক্ষিণ জেলায় ৭৮ জন করোনা সংক্রমিতের মধ্যে ৩১ জন সুস্থ হয়েছেন। ঊনকোটি জেলায় ৫৯ জন করোনা সংক্রমিতের মধ্যে ৪৪ জন সুস্থ, খোয়াই জেলায় ৩০ জন করোনা সংক্রমিতের মধ্যে ১৬ জন সুস্থ এবং উত্তর ত্রিপুরা জেলায় ১৪ জন করোনা সংক্রমিতের মধ্যে ৭ জন সুস্থ হয়েছেন।