নতুন প্রতিনিধি, আগরতলা, ১১ জুন৷৷ মাত্র তিন মাস আগে এয়ারপোর্ট থানাধীন নারায়নপুর এলাকার নাবালিকা পূজা দাসের বিয়ে হয়েছিল আকাশ দাসের সাথে৷ প্রথমে দুজন বাড়ি থেকে পালিয়ে বিয়ে করে বলে জানায় মৃতার মা৷ পড়ে দু পক্ষের সম্মতিতে সামাজিক বিয়ে হয়৷ বৃহস্পতিবার সকাল দশটা নাগাদ স্বামী স্ত্রী দুজনেই ভাত খেতে বসে৷ আচমকা পূজা দাস অচেতন হয়ে পড়ে বলে জানান তার শাশুড়ি শিলা দাস৷ তাকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় বামুটিয়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে৷ চিকিৎসকরা তাকে জিবিপি হাসপাতালে স্থানান্তর করে৷ সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে৷প্রশ্ণ উঠছে এক নাবালিকা হয়তো ভুলবশত বিয়ের জন্য উদ্যত হয়েছিল৷ কিন্তু সাবালক ছেলে এবং দুই পরিবারের মানুষরা কিভাবে এই নাবালিকাকে বিয়ের পিঁড়িতে বসালো৷ এরই মধ্যে তিন মাস যেতে না যেতেই মৃত্যু ঘটলো এই নাবালিকা অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর৷ যেখানে নাবালিকার বিয়ে রোধে মহকুমা প্রশাসন, সিডিপিও, পুলিশ, শিশু সুরক্ষা কমিশন, চাইল্ড লাইন, মহিলা কমিশন দায়িত্বপ্রাপ্ত , সেখানে এই নাবালিকার বিয়ে কিভাবে হয়ে গেল তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ণ? যদি সঠিক সময়ে এই নাবালিকা বিয়ের আটকানো যেত তাহলে হয়তো অকাল মৃত্যুর কোলে ঝরে পড়তো না৷ যদিও নাবালিকার বাবার বাড়ির লোকেরা মৃত্যু সম্পর্কে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত কোন অভিযোগ আনতে চাইছেননা৷ তাদের দাবি ময়নাতদন্তের রিপোর্টে কোন ধরনের আপত্তিকর তথ্য এলে তারা আইনী পথে হাঁটবেন বলে জানান৷স্থানীয়দের প্রশ্ণ অতি অল্প বয়সে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে গর্ভবতী হওয়ার কারণেই কি তার মৃত্যু হয়েছে? নাকি গর্ভপাতের কোন চেষ্টা ছিল? আবার অবৈধভাবে বলপূর্বক যৌন হেনস্থার কারণে তার মৃত্যু হয়েছে কি না তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ণ? এই প্রশ্ণগুলি ঘুরপাক খাচ্ছে গোটা এলাকা জুড়ে৷