নতুন প্রতিনিধি, আগরতলা, ১২ জুন।। আজ ফের চাকরিচ্যুত শিক্ষকরা আন্দোলনে নেমেছিলেন। পুলিশ তাঁদের বলপূর্বক সরিয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এদিন গান্ধী মূর্তির পাদদেশে একাংশ চাকরিচ্যুত শিক্ষক-শিক্ষিকা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করেছে। তাঁদের গ্রেফতার করার সময় ধস্তাধস্তি হয়েছে। আদালতের রায়ে ত্রিপুরায় ১০৩২৩ জন শিক্ষক-শিক্ষিকার চাকরী বাতিল হয়েছে। অ্যাডহক ভিত্তিতে তাঁদের চাকরীর মেয়াদ ছিল চলতি ইংরেজি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত। চাকরি হারানোর পর তাঁরা বিভিন্ন সময়ে আন্দোলনে নেমেছেন। করোনা-র প্রকোপে তাঁরা বৃহত্তর আন্দোলন কর্মসূচিতে ঝাঁপাতে পারছেন না। তবুও তাঁরা বিভিন্ন সময়ে আন্দোলনমুখী হন। আজ শুক্রবার বৃষ্টিভেজা দিনে প্রায় ৭০-৮০ জন চাকরিচ্যুত শিক্ষক-শিক্ষিকা গলায় প্ল্যা-কার্ড ঝুলিয়ে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তাঁদের চাকরি ফিরিয়ে দিতে হবে, এই দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন। কিছুটা সময় অতিক্রান্ত হওয়ার পর পুলিশ তাঁদের আন্দোলন প্রত্যাহার করার অনুরোধ জানায়। কিন্তু তাঁরা তাতে সম্মত হননি। ফলে ওই স্থানে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করতে হয়েছে। আন্দোলনকারীদের বিক্ষোভে কিছু সময়ের জন্য আগরতলা-এয়ারপোর্ট রাস্তায় যান চলাচল ব্যাহত হয়েছে। বৃষ্টিতে ভিজেই তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যেতে চাইছিলেন। কিন্তু পুলিশ তাঁদের বলপূর্বক গাড়িতে তুলেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিক্ষোভ প্রদর্শনকারীরা। জনৈক চাকরিচ্যুত শিক্ষকের কথায়, শান্তিপূর্ণভাবে পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রেখে আমরা দাবি আদায়ে আন্দোলন করছিলাম। কিন্তু পুলিশ বলপূর্বক আমাদের গ্রেফতার করেছে। দাবি আদায়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে পুলিশ হস্তক্ষেপ করেছে। এদিন ওই আন্দোলনকারীদের পুলিশ ভ্যানে তুলতে তাঁদের সাথে পুলিশের ধস্তাধস্তি হয়েছে। আবহাওয়া খারাপ থাকায় পুলিশের ওই আন্দোলন থামাতে বেগ পেতে হয়েছে। তবে আজকের মতো চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের আন্দোলন থামাতে পুলিশ সক্ষম হয়েছে।