নতুন প্রতিনিধি, বিশালগড়, ৯ জুন।। ফাঁসিতে আত্মহত্যা করল দশম শ্রেণির ছাত্রী। ঘটনা মঙ্গলবার বিশালগড়ের রঘুনাথপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত তেবারিয়া এলাকায়। নিজ বাড়ি থেকে দমকল কর্মীরা এই পড়ূয়াকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় বিশালগড় মহকুমা হাসপাতালে। কিন্তু চিকিৎসকরা তাকে দেখেই মৃত বলে ঘোষণা করে। তবে মেয়েটির মাও প্রথমে বুঝতে পারছিলনা কি কারণে সে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। পরে তার স্কুল ব্যাগ থেকে কয়েকটি চিঠি পাওয়া যায়। সেই চিঠিতে নাম লেখা ছিল মেয়েটির বাড়ির পাশেরই এক যুবকের নাম। মেয়েটির মা তখনই ধারণা করেন যে মেয়েটিকে সে উত্যক্ত করতো। কারণ প্রায় চার পাঁচটি চিঠি এই ব্যাগ থেকে উদ্ধার হয়েছে। এই চিঠির লেখা গুলি পড়ে সবাই ধারণা করছে ছেলেটিই তাকে উত্যক্ত করতো। মেয়েটির মা জানান গত কয়েকদিন ধরেই এই যুবককে দেখলে মেয়ে ঘরে ঢুকে যায়। তবে সে কিছুই বাড়িতে জানায়নি। প্রশ্ন উঠছে ছেলে মেয়ে দুজনের মধ্যে যদি কিছু নাই হয় তাহলে কেন সে আত্মহত্যার পথ বেছে নেবে ? ওই ছাত্রীর নাম দেবশ্রী রায়। সে কড়ইমুড়া দ্বাদশ বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে। এলাকার মানুষ সবাই তাকে ভালোবাসে। মেয়েটির মৃত্যুর পর সবার মুখে শুধু একটিই কথা ছাত্রী হিসাবে দেবশ্রী খুব ভালো ছিল। মেয়েটির মা আবার রঘুনাথপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তিন নং ওয়ার্ডের মেম্বার। মেয়েটির মা জানিয়েছেন তিনি পাশের এক বাড়িতে গিয়েছিলেন। আর ফিরে এসেই দেখতে পায় মেয়ে ফাঁসিতে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে। তার মা চিৎকার দিয়ে তাকে নীচে নামিয়ে ফেলেন। তখনও তার প্রান ছিল। কিন্তু হাসপাতালের আনার পথেই সে মারা যায়। ঘটনায় গোটা এলাকায় শোকের ছায়া বিরাজ করছে।