নতুন প্রতিনিধি, বিলোনীয়া, ৪ জুন৷৷ বিয়ের মাঙ্গলিক কাজ প্রায় সমাপ্ত৷ ঘরে গিয়ে পাশা খেলা বাকি৷ কিন্তু, ঠিক ওই সময়েই নব পরিণিতার মাথায় বজ্রপাত হয়৷ স্বামীর মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়েছে৷ সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য আগরতলায় জিবি হাসপাতালে স্থানান্তর করেন চিকিৎসকরা৷ কিন্তু, বিধাতার নিষ্ঠুর পরিহাস৷ চিকিৎসকদের সমস্ত চেষ্টা ব্যর্থ করে অকালে ঝরে গেল প্রাণ৷ সদ্য বিবাহিত সাজু দাস আজ প্রয়াত হয়েছেন৷ দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার বিলোনিয়া রামঠাকুর পাড়ার শচীন্দ্র দাসের তৃতীয় পুত্র সাজু দাস গত রবিবার নতুন জীবনের সূচনায় বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন৷ জীবন সঙ্গীকে নিয়ে আর বাড়ি ফেরা হলো না তার৷ বিয়ের পিঁড়িতে বসে মাঝপথেই মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলেন তিনি৷ সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে বিলোনিয়ার গাবুরাছড়া বিয়ে বাড়ি থেকে প্রথমে মাইছড়া প্রাথমিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ কিন্তু চিকিৎসকরা তাঁর অবস্থা দেখে বিলোনিয়া মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তর করেন৷ সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, তাঁর মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়েছে৷ তাই তাঁর উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে৷ সাজুর অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে চিকিৎসকরা তাঁকে আগরতলা জিবি হাসপাতালে স্থানান্তর করেন৷ কিন্তু আজ সকালে তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন৷ তিনি পেশায় মৎসজীবী ছিলেন৷ তাঁর বড় ভাই বলেন, রোগ নিয়ে ভীষণ উদাসীন ছিলেন সাজু৷ কখনওই চিকিৎসকদের কাছে যেতেন না৷ ফলে, তাঁর রোগ এতটা ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে আমরা কেউ আঁচ করতে পারিনি৷ এদিকে, মেয়ের বাড়িতে এখন গভীর নিস্তব্ধতা বিরাজ করছে৷ মেয়ে লগ্ণভ্রষ্টা হয়েছে নাকি তার সিঁথির সিঁদুর মুছেছে, সেটাই বুঝতে পারছেন না পরিবারের সদস্যরা৷