নতুন প্রতিনিধি, আগরতলা, ৪ জুন৷৷ খাবার নিয়ে অসন্তোষের জেরে গতকাল রাতে ভগৎ সিং যুব আবাসে করোনা আক্রান্ত রোগীরা অসন্তোষ প্রকাশ করেন৷ শুধু তাই নয়, খাবার ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছেন তারা৷ আজ পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখে এখন থেকে রোগীদের খাবার সরবরাহে কোনও ত্রুটি থাকবে না বলে আশ্বস্ত করেছেন সাংসদ প্রতিমা ভৌমিক৷ তাঁর দাবি, ভুল বোঝাবুঝির কারণেই ওই অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটেছে৷ ভবিষ্যতে এমন কোনও অভিযোগ ওঠার সুযোগ দেওয়া হবে না৷ প্রসঙ্গত, কয়েকদিন ধরে খাবারের গুনমান নিয়ে আপত্তি জানাচ্ছিলেন ভগৎ সিং যুব আবাসে চিকিৎসাধীন করোনা রোগীরা৷ বুধবার রাতে তাদের মধ্যে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে৷ কয়েকজন রোগী রেগে খাবার ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছেন৷ অভিযোগ, তাঁরা চিকিৎসা কর্মীদের উদ্দেশ্যে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেছেন৷ ভয়ে চিকিৎসা কর্মীরা বাইরে বেরিয়ে আসেন৷ খবর পেয়ে পশ্চিম ত্রিপুরার জেলাশাসক ও পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন৷এ-বিষয়ে নিউ ক্যাপিটাল কমপ্লেক্স এসডিপিও প্রিয়া মাধুরী মজুমদার বলেন, রোগীদের খাবার সরবরাহ নিয়ে ভগৎ সিং যুব আবাসে সমস্যা হয়েছিল৷ তাতে রোগীরা হই-হট্টগোল করেছেন৷ তাঁর কথায়, কয়েকদিন ধরে খাবার নিয়ে রোগীরা অসন্তোষ জানাচ্ছিলেন৷ কারণ, খাবারের গুণমান সঠিক না হলে মানুষ আপত্তি জানাবেনই৷ গতকাল রাতে রোগীরা রেগে গিয়ে খাবার ছুঁড়ে ফেলে দেন৷ কিন্তু, চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্য কর্মীদের মারধর করেননি৷ তাঁর দাবি, রোগীরা উত্তেজিত হয়ে যাওয়ায় চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্য কর্মীরা বাইরে বেরিয়ে যান৷ তবে, রাতেই পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে৷ তাঁদের খাবার নতুন করে তৈরি করে দেওয়া হয়েছে৷ এখন পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক৷ওই ঘটনায় আজ সাংসদ প্রতিমা ভৌমিক খোঁজ নিতে ভগৎ সিং যুব আবাসে যান৷ সেখানে চিকিৎসক, অন্যান্য স্বাস্থ্য কর্মী এবং ক্যান্টিন কর্মীদের সাথে কথা বলেন৷ রোগীদের খাবার সরবরাহে গুণমানের প্রশ্ণে কোনও আপস করা চলবে না, তা নিশ্চিত করতে বলেছেন তিনি৷ এ-বিষয়ে তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, সামান্য ভুল বোঝাবুঝির কারণে ওই ঘটনা ঘটেছে৷ তবে রোগীদের খাবার সরবরাহ সহ যাবতীয় সমস্ত বিষয় তদারকির জন্য একজন অতিরিক্ত জেলা শাসককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে৷ তাঁর কথায়, ক্যান্টিন পরিচালনায় গাফিলতির কারণেই রোগীদের খাবার সরবরাহে ত্রুটি হয়েছে৷ অবশ্য তার পেছনে কারণ সম্পর্কে তিনি দাবি করেন, প্রতিদিন নতুন রোগী আসছেন৷ ফলে ক্যান্টিন পরিচালনায় ত্রুটি হয়ে গেছে৷ তিনি আশ্বস্ত করেন, এখন থেকে করোনা রোগীর খাবার সরবরাহে গুণমানের প্রশ্ণে কোনও আপস করা হবে না৷