নতুন প্রতিনিধি, বিশালগড়, ২ জুন।। ত্রিপুরার কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে বিচারাধীন এক কয়েদির শরীরে করোনা-র সংক্রমণ মিলেছে। তাকে কোভিড কেয়ার সেন্টারে আনা হয়েছে। তবে তার সংস্পর্শে যারা ছিলেন তাদের চিহ্নিত করা হয়েছে। সিপাহিজলা জেলার মধুপুর থানাধীন মিয়াঁপাড়া এলাকায় এক নেশাকারবারিকে গত ২৬ মে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। মধুপুর থানায় তাকে দু-দিন রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। তাকে দুই দফায় আদালতে সোপর্দও করা হয়েছে। আদালত থেকে তাকে ৩০ মে জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছিল। ফলে তার সংস্পর্শে অনেকেই ছিলেন, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। ইতিমধ্যে মধুপুর থানার ১০ জন পুলিশ কর্মীকে বাড়িতে একান্তবাসে পাঠানো হয়েছে। তাছাড়া, বিশালগড় আদালতের আইনজীবী এবং অন্যদেরও চিহ্নিত করার কাজ শুরু হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতর থেকে একটি টিম ইতিমধ্যে আদালতে পৌঁছে থার্মাল স্ক্রিনিং ও নমুনা সংগ্রহের কাজ শুরু করেছে। স্বাস্থ্য দফতরের জনৈক আধিকারিক জানিয়েছেন, করোনা আক্রান্তের সাথে সরাসরি যোগাযোগ থাকলে নমুনা সংগ্রহ করা হবে। বিশালগড় কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের আধিকারিকের কথায়, ওই 
কয়েদি নেতাজি ব্লকে ছিলেন। সেখানে অন্য কয়েদিদের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। কিন্তু এখন প্রশ্ন উঠেছে, ওই ব্যক্তি কীভাবে করোনা আক্রান্ত হলেন। পুলিশ জানিয়েছে, ওই ব্যক্তি ৫ মাস ধরে পলাতক ছিলেন। ফলে ধারণা করা হচ্ছে, ওই সময় তিনি বাংলাদেশে পালিয়ে আত্মগোপন করেছিলেন। তাছাড়া, গাঁজা ব্যবসায়ীদর সাথে তার যোগাযোগ ছিল। তাই অনুমান করা হচ্ছে, বাংলাদেশ থেকেই তার দেহে করোনা সংক্রমণ হয়েছে।
