নতুন প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি, ৩০ মে।। নিজের দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার এক বছর পূর্তিতে দেশবাসীর উদ্দেশ্যে চিঠি লিখলেন নরেন্দ্র মোদী। নিজের চিঠিতে তিনি লিখেছেন, দেশ বিগত ১ বছরে ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু মোদী স্বীকার করে নিয়েছেন যে, করোনা ভাইরাসের চরম সংকটকালীন মূহূর্তে ‘মারাত্মক দুর্দশা’য় ভুগেছেন পরিযায়ী শ্রমিকেরা। পাশাপাশি তিনি দেশবাসীকে আশ্বাস দিয়েছেন ভারত অর্থনৈতিক পুনর্জাগরণের ক্ষেত্রে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে। দেশবাসীর উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এই সংকটে কারোর অসুবিধা হয়নি, একথা কোনও ভাবেই বলা যায় না। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ” আমাদের শ্রমিক, পরিযায়ী শ্রমিক, ছোট শিল্পের কারিগর এবং কারিগররা, হকাররা প্রচণ্ড যন্ত্রণা সহ্য করেছেন।”পাশাপাশি নরেন্দ্র মোদী উল্লেখ করেছেন, “যে অসুবিধাগুলি হচ্ছে তা যেন বিপর্যয়ের রূপ না নেয়, তা আমাদের দেখতে হবে। চাকরি হারিয়ে, নিঃস্ব হয়ে মার্চের শেষ থেকে কয়েক হাজার শ্রমিক পায়ে হেঁটে, সাইকেল চালিয়ে হাজার হাজার রাস্তা অতিক্রম করেছে, যা মার্চের শেষ থেকে চলা লকডাউনের চেনা ছবি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, অনেক কিছু যে করতে হবে, এ বিষয়ে তিনি সচেতন ছিলেন। তিনি লিখেছেন “আমাদের দেশ অনেকগুলি চ্যালেঞ্জ এবং সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে। আমি দিনরাত কাজ করে যাচ্ছি। ” পাশাপাশি তিনি উল্লেখ করে বলছেন, তিনি নিজের থেকেও দেশবাসীর শক্তি ও দক্ষতায় বিশ্বাস করেন।চিঠিতে উল্লেখ, “বিশ্বব্যাপী মহামারীর কারণে এটি অবশ্যই সঙ্কটের সময়, তবে আমাদের ভারতীয়দের জন্য এটা দৃঢ় সংকল্পেরও সময়।” তিনি বলেন, “আমাদের সবসময় মনে রাখতে হবে ১৩০ কোটি এর বর্তমান ও ভবিষ্যত কখনই কোনও প্রতিকূলতার মধ্যে কাটবে না।”নিজের দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, ” গত বছরের ওই দিনটিতে ভারতীয় গণতন্ত্রে একটি “সোনার অধ্যায়” শুরু হয়েছিল। চিঠি লেখার প্রসঙ্গে মোদী বলেন, “সাধারণ সময়ে আমি আপনাদের মাঝেই থাকতাম। তবে বর্তমান পরিস্থিতি মোটেই সেই অনুমোদন দেয় না। এজন্য আমি এই চিঠির মাধ্যমে সকলের জন্য প্রার্থনা করছি।”