নতুন প্রতিনিধি, বিলোনীয়া, ২৯ মে৷৷ বিলোনিয়া মহাকুমাধীন বড়পাথরি পিপারিয়াখলা এলাকায় মঙ্গলবার রাতের ঘটনায় মামলা-পাল্টা মামলায় আক্রান্ত রাকেশ বিশ্বাস ও বিপ্লব পাল জেলে৷ অপরদিকে আক্রমণকারী বিমল পাল ও তার দলবল শাসক দলের হওয়ার সুবাদে হওয়ার সুবাদে পুলিশি ব্যবস্থায় জামাই আদরে৷ এমনই অভিযোগ তোলেন ডিওয়াইএফআই এর নেতৃত্বরা৷
শুক্রবার বিকালে সিপিআইএম বিলোনিয়া বিভাগীয় কার্যালয়ে বামপন্থী যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই এর উদ্যোগে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এমনই অভিযোগ তোলে ঘটনার সুষ্ঠ তদন্তক্রমে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করে ঘটনার বৃত্তান্ত তুলে ধরেন ডিওয়াইএফআই এর বিলোনিয়া মহকুমা কমিটির সম্পাদক মধুসূদন দত্ত বলেন লকডাউন এর প্রথম পর্ব থেকেই সিপিআইএম সহ বিভিন্ন শাখা সংগঠনগুলি দুস্থদের মধ্যে ত্রান সামগ্রী বিতরণ করা অব্যাহত রাখলো৷ দুস্থদের মধ্যে দান সামগ্রী বিতরণ করার উদ্দেশ্য নিয়ে বড়পাথর পিপারিয়া খলা এলাকায় সিপিআইএমের কর্মী রাকেশ বিশ্বাসের বাড়িতে ত্রাণ সামগ্রী প্যাকেট করার কাজ হচ্ছে এই খবর পেয়ে স্থানীয় বিজেপি দলের নেতা বিমল পাল এর নেতৃত্বে সাত-আটজনের বাহিনী রাকেশের বাড়িতে আক্রমণ করে৷
হামলা হওয়ার সাথে সাথে রাকেশের পরিবারের লোকেরা পিআরবাড়ি থানাতে জানানোর পরেও পুলিশ ঘটনাস্থলে আসেনি৷ ফলে বিজিবি দুষৃকতী বাহিনীরা রাকেশের বাড়ি ভাংচুর সহ রাকেশের পরিবার উপর আক্রমণ করে৷ পরিবারের লোকেরা যখন দলবদ্ধ ভাবে প্রতিরোধে এগিয়ে আসে তখন বিমল পাল সহ তার দলবল পালাতে গিয়ে আহত হয়৷এই ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই বড়পাথর সহ নানা স্থানের বিজেপি দলের বাহিনীরা পিপাড়িয়াখলাতে এসে সন্ত্রাস শুরু করে সিপিআইএম কর্মী সমর্থকদের বাড়িঘর হামলা চালায়৷ পুলিশ ঘটনাস্থলে আসার পরেও হামলাকারীরা পুলিশের সামনে সন্ত্রাস শুরু করে৷ অবস্থা বেগতিক দেখে পুলিশ রাকেশ বিশ্বাস ও বিপ্লব পাল কে বেরিকেড দিয়ে পিআর বাড়ি থানাতে নিয়ে আসে৷
সেদিন রাতেই হামলাকারীরা রাকেশ ও বিপ্লব পালের বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যা মামলা করে এই মামলার ফলে বুধবারে পুলিশ আক্রান্ত রাকেশ বিশ্বাস ও বিপ্লব পালকে আদালতে তোলার পর চৌদ্দদিনের জেল হাজতবাসের নির্দেশ দেন৷ কিন্তু আক্রান্ত কারীদের বাড়িঘর মঙ্গলবার রাতে ঘেরাও করে রাখাতে থানায় মামলা দায়ের করতে না পারায় বুধবার সকালে রাকেশ বিশ্বাসের পরিবার ও বিপ্লব পালের পরিবার আক্রমনকারি বিমল পাল ও তার দল বলের নামধাম দিয়ে থানায় মামলা দায়ের করা পরেও তিন দিন অতিক্রান্ত হতে চলছে এখনো আক্রমনকারীরা অধরা৷ সিপিআইএম বিলোনিয়া বিভাগীয় কমিটির নেতৃত্বরা এ বিষয়ে জেলা ও মহকুমা প্রশাসন , পুলিশ প্রশাসনকে জানিয়েও কাজ হয়নি৷ হামলাকারীরা বহাল তবিয়তে আছে বলে অভিযোগে করেন ডিওয়াইএফ আই এর নেতৃত্বরা৷ ঘটনার তীব্র নিন্দা করে দোষীদের শাস্তির দাবী তোলেন৷
এই দিনের সাংবাদিক সম্মেলনে ছিলেন ডিওয়াইএফ আই এর মহকূমা কমিটির সভাপতি ও সম্পাদক রিপু সাহা, মধুসূদন দত্ত, ছাত্র নেতা সুকান্ত মজুমদার৷