নতুন প্রতিনিধি, করিমগঞ্জ, ২৯ মে৷৷ পার্শবর্তী রাজ্য অসমের করিমগঞ্জ জেলার কানাইবাজারএআছিমগঞ্ ৮ নং আসাম আগরতলা জাতিয় সড়কের বেহাল দশা৷যে কোন সময়ে ত্রিপুরার লাইফ লাইন বিচ্ছিন্ন হবার সম্ভাবনা৷দিনের পর দিন বেহাল হয়ে পড়েছে অসম-ত্রিপুরা ৮ নং জাতীয় সড়কটি৷এতে যে কোনও সময়ে দুটি রাজ্যের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হবার সম্ভাবনা প্রবল হয়ে উঠছে৷বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়রা সহ এ রুটে চলাচলকারিরা ব্যাপক উদ্বেগ প্রকাশ করলেও এ ব্যাপারে নীরব স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ও অসম সরকার৷সড়কের বেহাল দশা নিয়ে প্রতিবাদের ভাষাও হারিয়ে ফেলছে বিরোধী দলগুলোও৷
এ নিয়ে স্থানীয় ভূক্তভোগীদের মনে ক্ষোভের দানা বাঁধতে শুরু করেছে৷গর্তে ভরা ভাঙ্গা সড়কটি কোন মতে শুকনো মরশুম পার হতেই এবার পড়েছে বরুণ দেবতার কুদৃষ্টিতে৷গত কয়দিনের ভারিটি বৃষ্টিতে বিশেষ করে আছিমগঞ্জের বৃহত্তর এলাকা জুড়ে থাকা সড়কের পুকুরসম বড় বড় গর্তে জল জমে টই টুম্বুর হয়ে উঠেছে৷বর্তমানে এই জাতিয় সড়কটি যে কোন হালের জমিকেও হার মানাবে বলে অভিমত ভুক্তভোগী স্থানীয় জনগণের৷
অসম-ত্রিপুরার লাইফ লাইন হিসেবে পরিচিত প্রায় প্রতিদিনই এই সড়ক যাতায়তকারী মালবাহী লরিগুলোর চাকা ফেঁসে গিয়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি করছে৷এমনকি বেহাল এই সড়কের জন্য ঘন্টার পর ঘন্টার জরুরি কালীন পরিষেবার গাড়িগুলোকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়৷
এতে স্বাভাবিক ভাবে বৃহত্তর এলাকার অর্থনৈতিক ব্যবস্থাও প্রায় পঙ্গু হয়ে পড়েছে৷একে তো চলতি লকডাউনে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের ব্যবসা বাণিজ্য লাঠে উঠার উপক্রম তার উপর বেহাল জাতীয় সড়কের এই করুন দশায় স্থানীয় বাজারে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে৷শুধু তাই নয়, একই অবস্থা বিরাজ করছে পাথারকান্দির ব্যস্ততম বাজারের উত্তর থেকে দক্ষিণ রেলওয়ে গেইট পর্য্যন্ত৷বলতে গেলে বর্তমানে চলার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে জাতীয় সড়কটি৷সম্প্রতি সড়কটি পুননির্মানের নামে সরকারি ভাবে অর্থ মঞ্জুর হলেও এক অজ্ঞাত কারনে সংশ্লিষ্ট কাজে হাত দিচ্ছে না দায়িত্ব প্রাপ্ত উড়িষ্যার জনৈক ঠিকাদার৷ লকডাউন এর ফলে রাজ্যে ২০৮ নং বিকল্প জাতীয় সড়কটি পূর্বেই সিল করে দেওয়া হয়েছে৷
উন্মুক্ত রয়েছে ৮ নং আসাম আগরতলা জাতীয় সড়ক৷ কিন্তু আসামের করিমগঞ্জ জেলার কানাই বাজার সংলগ্ণ এলাকায় ত্রিপুরা সংযোগী ৮ নং আসাম আগরতলা জাতীয় সড়কের বেহাল দশার ফলে যে কোন মুহূর্তে রাজ্যে সড়কপথের একমাত্র যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যেতে পারে৷ অনতিবিলম্বে সৃষ্ট সমস্যাটির সমাধান না হলে ত্রিপুরা অসম সীমান্ত এলাকার জনগন বৃহত্তর গণআন্দোলনের পথে পা বাড়াবেন বলে জানা গেছে৷