নতুন প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৮ মে৷৷ ভারত সরকার লকডাউন ৩১ মে পর্যন্ত বাড়িয়েছে৷ সেই মোতাবেক ত্রিপুরা সরকারও কেন্দ্রের পদাঙ্ক অনুসরণ করেই বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ প্রসঙ্গত, কোভিড-১৯ মোকাবিলায় ন্যাশনাল এগজি- কিউটিভ কমিটি (এনইসি) লকডাউন পালনের জন্য ১৭ মে এক নির্দেশিকা জারি করেছে এবং রাজ্য সরকারকে নির্দেশিকার ৫ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ‘রেড’, ‘অরেঞ্জ’ এবং ‘গ্রিন’ জোন চিহিণত করার নির্দেশ দিয়েছে৷ তেমনি ৩ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুসারে আন্তঃরাজ্য ও রাজ্যের অভ্যন্তরে যাত্রীবাহী যানবাহন এবং বাসের চলাচল সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিতে বলেছে৷
তাই ত্রিপুরা সরকার দুযর্োগ মোকাবিলা আইন ২০০৫ অনুযায়ী এ-ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়ে এক আদেশ জারি করেছে৷ ত্রিপুরা সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলাশাসক ও সমাহর্তা দ্বারা চিহিণত করোনা ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাকে ‘রেড জোন’ হিসেবে গণ্য করা হবে৷ পাশাপাশি, জেলাশাসক দ্বারা চিহ্ণিত করোনা ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার চারপাশের এলাকা ‘অরেঞ্জ জোন’ বলে গণ্য করা হবে৷ এছাড়া, ওই দুই এলাকার বাইরের সমস্ত এলাকা ‘গ্রিন জোন’ বলে গণ্য হবে৷ত্রিপুরা সরকার আরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের ১৭ মে জারি করা নির্দেশিকার ২ নম্বর অনুচ্ছেদে উল্লিখিত নিষেধাজ্ঞা ছাড়া ‘অরেঞ্জ’ ও ‘গ্রিন জোন’-এ অন্য কোনও বিধিনিষেধ থাকবে না৷ পাশাপাশি, রাজ্যের ভিতরে যাত্রীবাহী যান চলাচলে কোথাও কোনও নিষেধাজ্ঞা লাগু হবে না৷ শুধু তা-ই নয়, আন্তঃরাজ্য যাতায়াতের ক্ষেত্রে আটকে পড়া মানুষের জন্য, চিকিৎসার কারণে, বাণিজ্যিক বা অন্য কোনও জরুরি প্রয়োজনে জেলাশাসকের অনুমতিক্রমে যাত্রীবাহী গাড়ি বা বাস চলাচল করতে পারবে৷