করোনা : পিপিই সহ ব্যবহৃত চিকিৎসা সরঞ্জাম খোলা ময়দানে, চাঞ্চল্য

নতুন প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৯ মে।। যেকোনো সাধারণ রোগের ক্ষেত্রেও চিকিৎসা সরঞ্জাম যত্রতত্র ফেলে দেওয়া নিষেধ। এই অবস্থায় করোনার মত মহামারীর ব্যাপক অবহেলা পরিলক্ষিত হয়েছে। গতকাল প্রায় তিন হাজারের মতো যাত্রী বহিঃরাজ্য থেকে ত্রিপুরায় এসেছে।গতকাল বহিঃরাজ্য থেকে আগতদের তাদেরকে নমুনা সংগ্রহের জন্য বাধারঘাট রেলস্টেশনের পার্শ্ববর্তী বাধারঘাট স্কুলে নিয়ে যাওয়া হয়। তাদের নমুনাও পরীক্ষা করা হয়। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো, সেখানে ডাক্তার বা স্বাস্থ্যকর্মীদের ব্যবহৃত হ্যান্ড গ্লাভস, পিপিই কিট সহ যাবতীয় সরঞ্জাম খোলা অবস্থায় মাটিতে ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রায় ২৪ ঘণ্টা এভাবে সেগুলি পড়ে থাকে। যেখানে কোভিড-১৯ এর ক্ষেত্রে এ ধরনের অবহেলা বড় ধরনের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে, সে জায়গায় কেন এর উন্মেষ? প্রশ্ন জাগছে। স্বাভাবিক কারণেই পুর কর্মী ও এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়ে যায়। এরআগেও স্যান্দন পত্রিকা ধরনের অবহেলার খবর প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু সপ্তাহকালের মধ্যেই এর পুনরাবৃত্তি প্রমাণ করে যে অবহেলা কোন পর্যায়ে গিয়ে ঠেকেছে। এরমধ্যে চেন্নাই সহ বেশ কিছু এলাকা থেকেও রাজ্যে এসেছেন অনেকেই। প্রতি ৫ জনের মধ্যে একজনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষা করার পর সেই সামগ্রী গুলি গতকালও বাধারঘাট রেলস্টেশন সংলগ্ন স্কুলে উন্মুক্ত অবস্থায় ফেলে রাখা হয়েছে। যদি আগতদের মধ্যে কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ থেকে থাকে। তবে এই অবহেলা নিঃসন্দেহে ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলবে। মাত্র কয়েকদিনের ঘটনায় কোভিড-১৯ সংক্রমণের ক্ষেত্রে গোটা উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে পেছনে ফেলে সামনে এগিয়ে গেছে ত্রিপুরা। জনসংখ্যার দিক দিয়ে বহুগুণ হওয়া সত্বেও আসামকে ছাপিয়ে গেছে। কারণ একমাত্র বিএসএফ ক্যাম্পে সংক্রমনের ঘটনা। যেকোনো একটি অবহেলা থেকেই যে এই সংক্রমণ তা নিয়ে নিশ্চিত সংশ্লিষ্টরা। কিন্তু তা সত্ত্বেও কি অবহেলা কোন অংশে শেষ হয়েছে?

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

চ্যাট খুলুন
1
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠান
হেলো, 👋
natun.in আপনাকে কিভাবে সহায়তা করতে পারে?