নতুন প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৮ মে।। চেন্নাই থেকে ত্রিপুরার নাগরিকদের নিয়ে ট্রেন পৌঁছল আগরতলায়। ত্রিপুরার ১,৪৬৪ জন নাগরিক মাসাধিককাল তামিলনাড়ুতে আটকে থাকার পর বাড়ি ফিরেছেন। অধিকাংশই চিকিৎসার জন্য চেন্নাই গিয়েছিলেন। সদর মহকুমাশাসক অসীম সাহা জানিয়েছেন, চেন্নাই ফেরত ত্রিপুরার নাগরিকদের জন্য সমস্ত ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাঁদের বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার জন্য গাড়ি রাখা হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিক জানিয়েছেন, আগের তুলনায় আরও কঠোর সুরক্ষা ব্যবস্থা অবলম্বন করা হচ্ছে। তাছাড়া, প্রতি পাঁচ জনে একজনের সোয়াব সংগ্রহ করা হচ্ছে। লকডাউনে ত্রিপুরার প্রচুর নাগরিক বহিঃরাজ্যে আটকে পড়েছিলেন। তাঁদের ফিরিয়ে আনার জন্য ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আজ চেন্নাই থেকে প্রথম ট্রেন ত্রিপুরার নাগরিকদের নিয়ে ফিরেছে। ত্রিপুরায় ফিরে প্রত্যেক নাগরিক ভীষণ আনন্দিত এবং উৎসাহিত দেখা গেছে। জনৈক সঞ্জয় সাহা বলেন, চিকিৎসার জন্য চেন্নাই গিয়েছিলাম। কিন্তু লকডাউনে আটকে পড়ি। আজ দু মাস বাদে রাজ্যে ফিরেছি। তার জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব এবং দুই সাংসদকে অসংখ্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন। একইভাবে ভেলোর থেকে চিকিৎসা করে ফিরেছেন বিশ্বজিৎ দাস। তিনি বলেন, দু মাস পর রাজ্যে ফিরেছি। চিকিৎসার জন্য তামিলনাড়ু গিয়ে আটকে পড়েছিলেন তিনিও। এখন নিজের রাজ্যে ফিরতে পেরে ভীষণ ভালো লাগছে। এদিন স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, চেন্নাই থেকে আজ ১,৪৬৪ জন যাত্রী ট্রেনে ফিরেছেন। তাঁদের প্রত্যেকের থার্মাল স্ক্রিনিং করা হয়েছে। তাছাড়া, প্রতি ৫ জনে একজনের সোয়াব সংগ্রহ করা হয়েছে। তাঁর দাবি, আগের তুলনায় অনেক কঠোর সুরক্ষা ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্টেশনে পৌঁছানোর পর ট্রেনের কোনও বগিতে জানলা খোলা রাখতে দেওয়া হয়নি। প্রত্যেক যাত্রীকে পরীক্ষা করে বাড়িতে একান্তবাসে পাঠানো হয়েছে। সদর মহকুমাশাসক অসীম সাহা বলেন, রেল স্টেশনে পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য কর্মী রয়েছেন। তাছাড়া, বিভিন্ন জায়গায় যাওয়ার জন্য প্রচুর গাড়ির ব্যবস্থা করা হয়েছে। নিজেদের খরচে যাত্রীরা বাড়ি যেতে পারবেন।