নতুন প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি, ১৬ মে।। করোনাভাইরাসের গ্রাস থেকে কবে মুক্তি মিলবে আপাতত সেই অপেক্ষায় ১৩০ কোটি ভারতবাসী। কিন্তু, অপেক্ষা যে আরও বহু দিন করতেই হবে, সেটা বুঝিয়ে দিচ্ছে করোনাভাইরাসের হানা।ভারতে দ্রুত গতিতে বেড়েই চলেছে কোভিড-১৯ ভাইরাসের সংক্রমণ, মৃত্যুর সংখ্যাও হু হু করে বেড়েই চলেছে। শনিবার সকাল আটটা পর্যন্ত ভারতে কোভিড-১৯ ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ২,৭৫২ এবং সংক্রমিত ৮৫,৯৪০ জন। ইতিমধ্যেই ভারতে করোনাকে পরাজিত করে সুস্থ হয়েছেন ৩০,১৫৩ জন। বিগত ২৪ ঘন্টার মধ্যেই ভারতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩,৯৭০ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১০৩ জনের। শনিবার সকালে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, সকাল আটটা পর্যন্ত ভারতে করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা ৮৫,৯৪০ জন (সক্রিয় করোনা রোগী ৫৩,০৩৫)। এখনও পর্যন্ত গোটা দেশে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২,৭৫২। এর মধ্যেই চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩০,১৫৩ জন।কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক জানিয়েছে, ২,৭৫২ জনের মধ্যে অন্ধ্রপ্রদেশে ৪৮ জনের মৃত্যু হয়েছে, অসমে দু'জনের, বিহারে ৭ জনের, চন্ডীগড়ে ৩ জন, দিল্লিতে ১২৩ জনের, গুজরাটে ৬০৬ জনের, হরিয়ানায় ১১ জনের, হিমাচল প্রদেশে ৩ জনের, জম্মু-কাশ্মীরে ১১ জনের, ঝাড়খণ্ডে ৩ জনের, কর্ণাটকে ৩৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন, কেরলে ৪ জন, মধ্যপ্রদেশে ২৩৯ জন, মহারাষ্ট্রে ১০৬৮ জনের মৃত্যু হয়েছে, মেঘালয়ে একজন, ওডিশায় ৩ জনের, পুদুচেরি একজন, পঞ্জাবে ৩২ জন, রাজস্থানে ১২৫ জনের, তামিলনাড়ুতে ৭১ জন, তেলেঙ্গানায় ৩৪ জন, উত্তরাখণ্ডে একজন, উত্তর প্রদেশে ৯৫ জন এবং পশ্চিমবঙ্গে ২২৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন। <br>
করোনা-প্রকোপে মহারাষ্ট্রের পরিস্থিতি এখনও সবচেয়ে শোচনীয়। মহারাষ্ট্রে শনিবার সকাল আটটা পর্যন্ত করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা ২৯,১০০, দিল্লিতে ৮৮৯৫, তামিলনাড়ুতে ১০,১০৮, অন্ধ্রপ্রদেশে ২৩০৭ জন, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে ৩৩ জন ( প্রত্যেকেই সুস্থ) অরুণাচল প্রদেশে একজন, অসমে ৯০ জন, বিহারে ১০১৮ জন, চন্ডীগড়ে ১৯১ জন, ছত্তিশগড়ে ৬৬ জন, দাদর নগর হাভেলিতে একজন, গোয়ায় ১৫ জন (সুস্থ ৭ জন), গুজরাটে ৯৯৩১ জন, হরিয়ানায় ৮১৮ জন, হিমাচল প্রদেশে ৭৬ জন, জম্মু-কাশ্মীরে ১০১৩ জন, ঝাড়খণ্ডে ২০৩ জন, কেরলে ৫৭৬, কর্ণাটকে সংক্রমিত ১০৫৬ জন, লাদাখে ৪৩ জন, মধ্যপ্রদেশে ৪৫৯৫ জন, মণিপুরে ৩ জন (দুজন সুস্থ), মেঘালয় ১৩ জন, মিজোরামে একজন, ওডিশায় ৬৭২ জন, পুদুচেরিতে ১৩ জন, পঞ্জাবে ১৯৩৫ জন, রাজস্থানে ৪৭২৭ জন, তেলেঙ্গানায় ১৪৫৪ জন, ত্রিপুরায় ১৫৬ জন, উত্তরাখণ্ডে ৮২ জন, উত্তর প্রদেশে ৪০৫৭ এবং পশ্চিমবঙ্গে ২৪৬১ জন।