নতুন প্রতিনিধি, আগরতলা, ৯ মে৷৷ নন টিম্বার ফরেস্ট প্রডিওসিং পলিসির অনুমোদন দিয়েছে রাজ্য মন্ত্রীসভা। দেশের মধ্য প্রদেশ, ওড়িশা, উত্তরাখণ্ড, ছত্রিশগড়, অন্ধপ্রদেসে এই পলিসি রয়েছে। বাঁশ, সুগন্ধি, ফুল ঝারু, বড় এলাচ, আমলা, হরিতকী বড় সম্পদ রাজ্যের। উপজাতি এলাকার জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন করার জন্য অর্থনৈতিক এর বড় ভূমিকা রয়েছে। অথচ দীর্ঘ বছর কোন পলিসি ছিল না। রাজ্য সরকার এই ক্ষেত্রে নতুন পলিসি গ্রহণ করেছে। মন্ত্রী সভা এই নতুন পলিসি অনুমোদন দিয়েছে। যে সকল বনবাসিরা বনের উপর নির্ভরশিল বিশেষত উপজাতি এলাকার মানুষ এই পলিসির মাধ্যমে লাভবান হবে। শনিবার রাজ্য মন্ত্রী সভায় গৃহীত এই সিদ্ধান্তের কথা মহাকরণে সাংবাদিক সম্মেলন করে জানান আইন মন্ত্রী রতন লাল নাথ। তিনি আরও জানান রাজ্যে বর্তমানে ফুল ঝারু উৎপাদন হয় ৮০০ মেট্রিক টন। সুগন্ধি ২০০ মেট্রিক টন, বড় এলাচ ২০০ মেট্রিক টন, ও বাঁশ ৩ হাজার ৬১৭ স্কয়ার কিলোমিটার চাষ হয়। জাইকা প্রকল্পের পেজ-২ তে ১ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হবে।
এই অর্থের ২৫ শতাংশ টাকা এই পলিসির জন্য সংরক্ষিত রাখা হয়েছে। ৫ বছরে বিনিয়োগ হবে ১৬ দশমিক ৫০ টাকা। এখন থেকে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ হবে এই সমস্ত সামগ্রীর। ইতিমধ্যেই ২০১৮ সালের আগস্ট মাসে রাজ্য সরকার একটি মৌ স্বাক্ষর করেছে।কোভিড ট্রিটমেন্ট সেন্টার জিবিতে রয়েছে ১০০ শয্যা। কোভিড হেলথ সেন্টার আইজিএম ও শাল বাগানে রয়েছে ৩০ ও ৩৫ শয্যা। কোভিড কেয়ার সেন্টার ভগৎ সিং যুব আবাসে রয়েছে ৩০০ শয্যা। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক শুক্রবার নতুন ডিসচার্জ পলিসি ফর কোভিড-১৯ প্রকাশ করেছে। সেখানে উল্লেখ রয়েছে মাইল্ড, ভেরি মাইল্ড এবং রিস সিন্ত্রুমেটিক ক্ষেত্রে ভর্তি করা হবে কোভিড কেয়ার সেন্টারে। তাদের পালস এবং তাপমাত্রা প্রতিদিন পরীক্ষা করা হবে।
ধারাবাহিক ভাবে তিনদিন জর না থাকলে ১০ দিন পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে। এই ক্ষেত্রে ছাড়ার আগে পরীক্ষা করা জরুরি নয়। কিন্তু রাজ্য সরকার পরীক্ষা করবে বলে জানান আইন মন্ত্রী রতন লাল নাথ। তিনি আরও জানান ছাড়ার সময় তাদের পরামর্শ দেওয়া হবে পরবর্তী ৭ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার। এরপর কোন ধরনের উপসর্গ পুনরায় দেখা দিলে কেয়ার সেন্টার বা স্টেট হেল্প লাইন নাম্বারে যোগাযোগ করতে হবে। রাজ্যে বর্তমানে পর্যবেক্ষণে রয়েছে ১৩ হাজার ৩৮৪ জন। ১৪ দিনের সময়সীমা সম্পন্ন করেছে ১১ হাজার ৫৭৭ জন। প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে ৪৪৪ জন। হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে ১ হাজার ৩৬৮ জন। শনিবার পর্যন্ত নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৮ হাজার ৮০৯ জনের।
নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৮ হাজার ৩৪০ জনের। নেগেটিভ এসেছে ৮ হাজার ২২১ জনের। শনিবার চোরাইবাড়ি দিয়ে রাজ্যে প্রবেশ করেছে ৫২০ জন। তার মধ্যে ২০৯ জন ট্র্যাক চালক, ৪০ জন রোগী ও ২৭১ জন সাধারন মানুষ। গাড়ি প্রবেশ করেছে ১৭২ টি। যাত্রী গাড়ি এসেছে ৬৪ টি। প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে ৪৪ জন। শনিবার ধলাই জেলা থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ২৭৬ জনের। সাংবাদিক সম্মেলনে এই তথ্য তুলে ধরেন মন্ত্রী রতন লাল নাথ। এখনো পর্যন্ত আবেদন জমা পড়েছে ৫ হাজার ৯২৩ টি। ৫ হাজার ৬০ জনের জন্য অর্থ প্রদান করা হয়েছে ১ কোটি ৮৯ লক্ষ ৭৩ হাজার ৪৯৯ টাকা। ৮৬৩ জনের আবেদন পরীক্ষা করার কাজ চলছে বলেও জানান মন্ত্রী রতন লাল নাথ।