নতুন প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি, ৯ মে।। ভারতের সংক্রমনের সংখ্যা ক্রমশ বেড়ে চললেও, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী দাবি এখনো পর্যন্ত চরম খারাপ অবস্থার মুখোমুখি হয়নি ভারত। শনিবার উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলোর মন্ত্রীও আধিকারিকদের মুখোমুখি হয়ে এমনটাই বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডক্টর হর্ষবর্ধন। এদিন ভিডিও কনফারেন্স চলাকালীন তিনি বলেন, বিশ্বের অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশে যে চরম খারাপ অবস্থা দেখা গিয়েছে, তেমন পরিস্থিতি এখনো দেখেনি ভারত। তবুও আমাদের সেই খারাপ অবস্থার জন্য প্রস্তুত হতে হবে।
তিনি বলেন ভারতের করো না পরিস্থিতি ক্রমশ ঠিক হয়েছে। পরিসংখ্যান দিয়ে তিনি জানিয়েছেন আমাদের দেশে মৃত্যুর হার ৩ দশমিক ৩ শতাংশ অসুস্থতার হার বেড়ে হয়েছে ২৯ দশমিক ৯ শতাংশ। যা খুবই ভালো ইঙ্গিত বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। জানিয়েছেন গত তিনদিন ধরে সংক্রমনের জেহার দেখা যাচ্ছে তাতে ১১ দিনে সংক্রমণ দ্বিগুণ হচ্ছে যা আগের থেকে অনেকটাই কম।
হার্ষভার্ধন জানিয়েছেন ১৪৩ টি হাসপাতাল শুধুমাত্র করুনার জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে, যাতে রয়েছে এক লক্ষ ৬৫হাজার ৯৯১ বেদ। তিনি আরও উল্লেখ করেন কোন রাজ্য সরকার গুলিকে, দেওয়া হয়েছে ৩২ লক্ষ পিপিই কিট। প্রসঙ্গত, দেশে দেশে ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে করোনা। প্রতিদিন লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ।
শেষ ২৪ ঘন্টাতেও করোনা আক্রান্ত ৩ হাজার ৩২০ জন, মৃত্যু হয়েছে ৯৫ জনের। দেশে মোট আক্রান্ত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৯ হাজার ৬৬২। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১৯৮১ জনের। দেশে বর্তমানে অ্যাক্টিভ কেস রয়েছে ৩৯ হাজার ৮৩৪ টি। সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা বর্তমানে ১৭ হাজার ৮৪৭। স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে এই পরিসংখ্যান পাওয়া গিয়েছে।
এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুসারে সারা দেশের মধ্যে মহারাষ্ট্রে করোনা সংক্রমণ সর্বাধিক। সেখানে মৃতের সংখ্যাও বেশি। এরপরেই এই তালিকায় রয়েছে গুজরাত। ৩ নম্বরে রয়েছে রাজধানী দিল্লি।
দেশে এই মুহূর্তে চলছে তৃতীয় দফার লকডাউন। আগের দুই দফার মতো কড়াকড়ি থাকছে না লকডাউনের তৃতীয় দফায়। গ্রিন জোনে কিছু বাদে সব ধরণের পরিষেবাই চালু রয়েছে। বাস চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে ৫০ শতাংশ যাত্রী নিতে পারবে বাসগুলি। এছাড়া গ্রিন জোনে ই-কমার্স সংস্থাগুলি অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ছাড়াও অন্যান্য দ্রব্য সরবরাহ করতে পারবে।