নতুন প্রতিনিধি, আগরতলা, ৮ মে৷৷ রাজ্যে করোনা সংক্রমণ ক্রমশ ভয়ংকর রূপ নিচ্ছে৷ বিএসএফের পাশাপাশি একজন ট্রাক চালকের কোভিড-১৯ রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে৷ সব মিলিয়ে আজ নতুন করে ৩০ জনের কোভিড-১৯ রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে৷ তাতে আমবাসায় জওহরনগর স্থিত ৮৬ নং বিএসএফ ব্যাটেলিয়ানের ২৫ জন জওয়ান, ১৩৮ নং ব্যাটেলিয়ান বিএসএফ পরিবারের চারজন সদস্য ও একজন ট্রাক চালক রয়েছেন৷ টিআর-০১- এএইচ- ১৯২২ নম্বরের ট্রাকের চালক চুড়াইবাড়িতে প্রাতিষ্ঠানিক একান্তবাসে রয়েছেন৷ ত্রিপুরায় এখন পর্যন্ত ১১৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
করোনা অতিমারী সারা দেশের সাথে পাল্লা দিয়ে ত্রিপুরাতেও ভয়ংকর রূপ ধারণ করে চলেছে৷ প্রতিদিন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি রাজ্যবাসীর মনে চিন্তার ভাজ ফেলেছে৷ টানা সাতদিন ধরে রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সন্ধান মিলছে৷ গত শনিবার রাজ্যে দুইজন বিএসএফ জওয়ানের কোভিড-১৯ রিপোর্ট পজেটিভ এসেছিল৷ এর পর থেকে প্রতিদিন করোনা আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে৷ ধারাবাহিকভাবে গত ৩ মে ১২ জন, ৪ মে ১৩ জন, ৫ মে ১৩ জন, ৬ মে ২২ জন, ৭ মে ২৪ জন এবং আজ ৩০ জন করোনা আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে৷ নতুন করে আক্রান্তদের আগামীকাল আগরতলায় নিয়ে আসা হবে৷
তবে, ত্রিপুরার রেজিস্ট্রিকৃত ট্রাকের চালকের করোনা আক্রান্তের ঘটনা চিন্তা আরও বাড়িয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে৷ স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে দাবি, ওই ট্রাক চালক বহিঃরাজ্য থেকে ত্রিপুরায় ফিরেছেন৷ কিন্তু, তিনি কোথায় আক্রান্ত হয়েছেন সেই প্রশ্ণকে খাটো করে দেখার সুযোগ নেই৷ প্রকাশিত সংবাদে জানা গিয়েছে, বিএসএফ দাবি করেছে, ত্রিপুরায় করোনা সংক্রমণ বিএসএফ ক্যাম্প কিংবা বিওপি থেকে ছড়ায়নি।
তবে, এখনও রাজ্যে সাধারণ জনগণের মধ্যে ওই সংক্রমণ ছড়াইনি বলেই মনে করা হচ্ছে৷ অবশ্য এখনও অনেক সাধারণ নাগরিকের নমুনা পরীক্ষা করা বাকি রয়েছে৷ করোনা ঝুকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসকারী এবং আক্রান্তদের সংস্পর্শে ছিলেন এমন সাধারণ মানুষের নমুনা পরীক্ষা বাকি থাকার ঘটনায় পুরোপুরি নিশ্চিন্ত হওয়া যাচ্ছে না৷
মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব আজ ট্যুইট বার্তায় দাবি করেন, ত্রিপুরাবাসীর নিরাপত্তা সুনিশ্চিতে প্রচুর কোভিড-১৯ পরীক্ষা করা হচ্ছে৷ তাঁর আবেদন, সরকারের কাজে সহযোগিতা করুন৷ কারণ, জননিরাপত্তায় সরকারী কর্মী ও স্বাস্থ্যকর্মীরা দিবারাত্র পরিশ্রম করে চলেছেন৷
এদিকে, আজ সাংবাদিক সম্মেলনে অতিরিক্ত মুখ্য সচিব এস কে রাকেশ বলেন, রাজ্যে প্রথম থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ১৩ হাজার জনকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছিল৷ এরমধ্যে ১১ হাজার ৫০০ জন তাদের নির্ধারিত পর্যবেক্ষণকাল শেষ করেছেন৷ আজ ৪৪৮ জন ফেসিলিটি কোয়ারেন্টাইনে এবং ১২৫২ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে৷ প্রায় ৭৪০০ নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে৷ এরমধ্যে ৮৯ জন পজিটিভ৷ ২ জন করোনামুক্ত৷ ১ জন রাজ্য ত্যাগ করেছেন৷ বর্তমানে রাজ্যে সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৮৬ জন৷ সকলেই জি বি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন৷ একজন শিশু বি এস এফ হাসপাতালের তত্ত্বাবধানে রয়েছে৷