নতুন প্রতিনিধি, আগরতলা, ৮ মে।। রাজধানী আগরতলা পশ্চিম থানার পুলিশ পশ্চিম জয়নগর এলাকা থেকে ১০জন বাংলাদেশি শ্রমিককে আটক করেছে। তারা সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করছিল। গোয়েন্দা সূত্রের সংবাদের ভিত্তিতে পশ্চিম থানার পুলিশ পশ্চিম জয়নগর এলাকায় তাদেরকে আটক করতে সক্ষম হয়। তাদের বিরুদ্ধে বেআইনি অনুপ্রবেশ আইনে থানায় মামলা হয়েছে।
জানা যায় তারা প্রায় সাত মাস আগে বাংলাদেশ থেকে আখাউড়া সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে রাজ্যে অনুপ্রবেশ করেছিল। সীমান্ত পারাপার এর সঙ্গে যুক্ত এক শ্রেণীর দালাল তাদেরকে দেড় থেকে দুই হাজার টাকা মাথাপিছু বিনিময় এ সীমান্ত ডিঙিয়ে রাজ্যে আসার সুযোগ করে দিয়েছিল। আগরতলা শহর সংলগ্ন বিটারবন এলাকায় এক ঠিকাদারের অধীনে তারা দীর্ঘ ৭ মাস ধরে কাজ করে আসছিল। বাংলাদেশী নাগরিক হলেও তারা নিজেদেরকে পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা পরিচয় দিয়েই ঠিকাদারের অধীনে সাত মাস ধরে কাজ করে আসছিল বলে জানায় আটক শ্রমিকরা।
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ জনিত কারণে লোকজন ঘোষণা করায় ওইসব শ্রমিকরা বিপাকে পড়ে যায় ।ঠিকাদারের অধীনে নির্মাণ কাজ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে পড়ে। লকডাউন চলাকালে তাদের জমানো সব টাকা শেষ হয়ে গেছে। বাংলাদেশী ঐসব শ্রমিকদের মধ্যে অনাহার দেখা দিয়েছে। সে কারণেই তারা এখান থেকে সীমান্ত দিয়ে পুনরায় তাদের দেশে ফিরে যাওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছিল। সীমান্ত পারাপার এর সঙ্গে যুক্ত দালালদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তারা পশ্চিম জয়নগর দিয়ে বাংলাদেশে চলে যাওয়ার চেষ্টা করছিল।
তখনই পুলিশের নজরে আসে বিষয়টি। পুলিশ বাংলাদেশের ১০ জন শ্রমিককে আটক করে পশ্চিম থানায় নিয়ে আসে। আটক শ্রমিকরা নিজেদেরকে বাংলাদেশী নাগরিক হিসেবে স্বীকার করেছে। সীমান্তপথে অনুপ্রবেশ রোধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করার পরও কিভাবে বাংলাদেশী নাগরিকরা অনুপ্রবেশ করে এসে কাজ করে চলেছে তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। পুলিশ ও বিএসএফের ভূমিকা নিয়েও জনমনে নানা প্রশ্ন উঠেছে।অনুপ্রবেশ রোধে বিএসএফকে আরো কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারী জনগণের পক্ষ থেকে দাবি জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারী জনগণ করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশ রোধে যথেষ্ট সজাগ রয়েছেন। সে কারণেই পুলিশ পুলিশ পশ্চিম জয়নগর থেকে ১০ জন বাংলাদেশি শ্রমিককে আটক করতে সক্ষম হয়েছে।