নতুন প্রতিনিধি, আগরতলা, ২২ এপ্রিল৷৷ করোনার প্রকোপ সারা দেশেই ভয়ংকর প্রভাব ফেলেছে৷ লকডাউনে সমস্ত ক্ষেত্রই প্রভাবিত হয়েছে৷ তেমনি শিক্ষা ব্যবস্থাতেও করোনা দারুন প্রভাব ফেলেছে৷ তাই, রাজ্য সরকার চলতি শিক্ষাবর্ষে নবম, দশম, একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণীর পাঠ্যক্রম কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷
এই বিষয়ে আজ সন্ধ্যায় সচিবালয়ে শিক্ষামন্ত্রী রতন লাল নাথ বলেন, নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত চলতি শিক্ষাবর্ষে পাঠ্যক্রম কমানো হবে৷ কারণ, লকডাউনের প্রভাবে সুকল বন্ধ রয়েছে৷ ফলে, পাঠ্যক্রম কমানো না হলে ছাত্রছাত্রীদের উপর মারাত্মক চাপ পড়বে৷ শুধু তাই নয়, চলতি শিক্ষাবর্ষে পড়ানোর সময় কম পাওয়া যাবে৷ তাতে পাঠ্যক্রম সমাপ্ত করা সম্ভব হয়ে উঠবে না৷ তাই, ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷
শিক্ষা দপ্তর সূত্রে খবর, রাজ্য সরকার প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত চলতি শিক্ষাবর্ষে পাঠ্যক্রম কমানোর চিন্তাভাবনা করছে৷ এক্ষেত্রে পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে৷ ধারণা করা হচ্ছে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর পাঠ্যক্রম কমানোর সিদ্ধান্তের প্রভাব প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণীর পাঠ্যক্রমে পড়বে৷ <br>
আজ শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, আগামী ২৪ এপ্রিল থেকে আগরতলা শহরে ১৩টি কেন্দ্রে মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিকের উত্তরপত্র মূল্যায়ন করা হবে৷ মহারাণী তুলসীবতী বালিকা বিদ্যালয়ে, বোধঝং সুকল, ক্ষুদরাম বসু সুকল, বানি বিদ্যাপীঠ সুকল, নেতাজী সুভাষ বিদ্যানিকেতন, উমাকান্ত একাডেমি বাংলা ও ইরেজী মাধ্যম, বিজয় কুমার সুকল, প্রাচ্য ভারতী দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ে, রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দির এবং কমিনি কুমার সিংহ মেমোরিয়াল দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ে উত্তরপত্র মূল্যায়ন হবে৷ তিনি জানান, ২৩৬৭ জন শিক্ষক শিক্ষিকা উত্তরপত্র মূল্যায়নে নিযুক্ত হয়েছেন৷ তাঁদের মধ্যে পরীক্ষক ১২২৪জন, প্রধান পরীক্ষক ৩৪ জন এবং স্ক্রুটিনাইজার ২৫৬ জন রয়েছেন৷ তাঁরা মাধ্যমিকের উত্তরপত্র মূল্যায়নের দায়িত্ব পেয়েছেন৷
অন্যদিকে, দ্বাদশের উত্তরপত্র মূল্যায়নে ৬৬৯ জন পরীক্ষাক, ৬০ জন প্রধান পরীক্ষক এবং ১২৪ জন স্ক্রুটিনাইজার রয়েছেন৷ শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, সাধারণ ডিগ্রী কলেজের অধ্যাপক এবং বিভিন্ন প্রধান শিক্ষক ও অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের উত্তরপত্র মূল্যায়নে নিযুক্ত করা হয়েছে৷ এদিকে, উত্তরপত্র মূল্যায়নের দায়িত্বে যারা রয়েছেন তাদের মধ্যে যারা নিজস্ব যানবাহন নিয়ে যাবেন তাদের নিযুক্তি পত্রই পাস হিসেবে ব্যবহৃত করা যাবে৷ অন্যান্যদের জন্য টিআরটিসি তিনটি বাস তাদের যাতায়াতে ব্যবহৃত হবে৷