নতুন প্রতিনিধি, আগরতলা, ২২ এপ্রিল : করোনা-র প্রকোপের মাঝেই ফের রাজ্যে কালবৈশাখীর ঝড় লন্ডভন্ড করে দিয়েছে। বাড়িঘর ভেঙেছে। গাছ পরে জাতীয় সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সিপাহীজলা জেলা পুলিশ সুপারের সরকারি আবাসনও। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘন্টায় ৪০-৫০ কিলোমিটার। ঝড়ের তান্ডবে বুধবার বিকালে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গাতে বহু বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। সিপাহীজলা জেলার পুলিশ সুপারের সরকারী বাসভবনের একটি অংশ এবং বাড়ির পুলিশের সেন্ট্রিপোস্ট গাছ পরে ভেঙ্গে গেছে। তবে, তিনি সুরক্ষিত আছেন। ওই ঝড়ে সিপাহীজলা জেলার চড়িলাম বাজারের মৃৎশিল্পী নির্মল চন্দ্র পাল সব চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ভাড়ায় নেওয়া প্রতিমা তৈরির কারখানার ছাউনি উড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার ফলে দূর্গা প্রতিমাগুলিও ক্ষতি হয়ে হয়েছে বলে জানান তিনি। মোট ২৯ টি প্রতিমা-র মাটি বৃষ্টিতে অনেকটাই ধুয়ে গেছে। অনেক ধার দেনা করে এই প্রতিমা গুলি বানিয়েছিলেন তিনি। এই ঝড় তাকে অনেক ক্ষতির সম্মুখীন করবে বলে তিনি হতাশা ব্যক্ত করেন।
এদিকে, জম্পুইজলায় অনেক বাড়িঘরের টিনের শেড শিলাবৃষ্টি-তে ফুটু হয়ে গেছে। বক্সনগরেও দুইটি বাড়ি ঝরে পুরো ভেঙে পড়েছে। তাতে, পরিবার নিয়ে মুশকিলে পড়েছেন দুইটি পরিবার। চড়িলাম এলাকায় ঝড়ে প্রচুর গাছ ভেঙে পড়েছে। বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে গেছে। জিরানিয়ায় জাতীয় সড়কের উপর দাঁড়িয়ে থাকা একটি স্কুটি-তে গাছ ভেঙে পরেছে। তাতে স্কুটি দুমড়ে-মুচড়ে গেছে। শুধু তাই নয়, গাছ পরে জাতীয় সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। লকডাউন-এ গণ পরিবহন বন্ধ রয়েছে। কিন্তু জরুরি পরিষেবার যানবাহন ওই পথে যাতায়াত করতে পারছে না।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বাংলাদেশ থেকে উৎপত্তি ওই ঝড় সিপাহীজলা জেলায় সবচেয়ে ক্ষতি করেছে। গোমতী ও পশ্চিম ত্রিপুরা জেলায় ওই ঝড়ের বেশি প্রভাব দেখা যায়নি। আবহাওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, ওই ঝড় সিপাহীজলা থেকে আংশিক গোমতী ও পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা ছুঁয়ে খোয়াই, কমলপুর, আমবাসা হয়ে উত্তর ত্রিপুরার দিকে ছুটে গেছে। আবহাওয়া দফতরের জনৈক আধিকারিকের মতে, সিপাহীজলা জেলা ছাড়া ওই ঝড় অন্য জেলার দিকে জট এগিয়েছে তার গতিবেগ তত কমেছে। তিনি বলেন, সিপাহীজলা জেলায় ঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘন্টায় ৪০-৫০ কিলোমিটার। এদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় ত্রিপুরায় ৭৯.৫ এমএম বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে।