নতুন অনলাইন ডেস্ক, ১০ এপ্রিল : করোনা মোকাবিলায় চিন থেকে কেনা মুখোশ ফেরত পাঠাচ্ছে একের পর এক দেশ। অত্যন্ত নিম্নমানের সার্জিক্যাল মাস্ক সরবরাহের অভিযোগ তুলে এবার প্রথমবার চিন সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খুলল ফিনল্যান্ড। ইতিমধ্যেই তারা ঠিক করেচে টাকা ফেরতের প্রতিশ্রুতি পেলে সব মাস্ক চিনের সংস্থার কাছে ফেরত পাঠানো হবে।
বিশ্বজুড়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করেছে করোনা। মারণ এই ভাইরাসের মোকাবিলায় যুদ্ধকালীন তৎপরতার সঙ্গে কাজ করছে একাধিক দেশ। সম্প্রতি চিন থেকে করোনা মোকাবিলার মাস্ক কেনে স্পেন, নেদারল্যান্ডস, তুরস্ক এবং অস্ট্রেলিয়া। চিনের সংস্থার পাঠানো ওই মাস্কের গুণগত মান খারাপ হওয়ায় ইতিমধ্যেই সেই মাস্ক ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশগুলি।
এবার চিনের বিরুদ্ধে সরাসরি নিম্নমানের সার্জিক্যাল ও রেসপিরেটর মাস্ক পাঠানোর অভিযোগ ফিলন্যান্ডের। দুনিয়া জুড়ে এখন পার্সোনাল প্রোটেক্টিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই) এবং করোনাভাইরাস টেস্টিং কিট-এর আকাল। কিন্তু আবশ্যিক শর্ত পূরণ না হওয়ায় চিনের তৈরি মুখোশের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মুখ খুলেছে ফিনল্যান্ড।
ফিনল্যান্ড প্রশাসন জানিয়েছে, তাদের দেশে চিন থেকে আসা প্রথম দফার ২০ লক্ষ সার্জিক্যাল মাস্ক এবং ২ লক্ষ ৩০ হাজার রেসপিরেটর মাস্কে গলদ রয়েছে। হাসপাতালে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে পর্যাপ্ত সুরক্ষা নেই চিনের তৈরি মাস্কগুলিতে।
তবে ফিনল্যান্ড সরকার জানিয়েছে, যে স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্বাস্থ্য পরিষেবা দিচ্ছেন তাঁরা চিনের তৈরি এই মুখোশগুলি ব্যবহার করতে পারবেন।
জানা গিয়েছে, আপাতত দেশেই তিনটি সংস্থার মাধ্যমে দিনে ২ লক্ষ মাস্ক উৎপাদন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফিনল্যান্ড। ওই মাস্কগুলিই হাসপাতালে করোনা মোকাবিলায় কাজ করা চিকিৎসক নার্স ও অন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের দেওয়া হবে। গত কয়েকদিনে চিন থেকে কেনা মাস্ক ফেরত পাঠিয়েছে স্পেন, নেদারল্যান্ডস, তুরস্ক এবং অস্ট্রেলিয়াও। করোনা রুখতে চিন যে মাস্কগুলি অ্য দেশে পাঠাচ্ছে তা ব্যবহারের অযোগ্য বলে দাবি করেছে ওই দেশগুলি।
গোটা বিশ্ব লড়ছে মারণ এই ভাইরাসের সঙ্গে। করোনার হাত থেকে বাঁচতে নিরন্তর গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন বিশ্বের তাবড় দেশের বিজ্ঞানীরা। এখনও পর্যন্ত করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিনের সন্ধান মেলেনি। গোটা বিশ্বে এখনও পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১৬ লক্ষ ৫ হাজার ৩৩২। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গোটা বিশ্বে এখনও পর্যন্ত ৯৫ হাজার ৭৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।