নতুন প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি, ৩০ মার্চ।। দেশজুড়ে চলছে ২১ দিনের লকডাউন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আদেশে করোনা ভাইরাস রুখতে এই উদয়োগ নেওয়া হয়েছে। তবে যেহুতু করোনা আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ন্ত্রনে নেই তাই মনে করা হচ্ছিল লকডাউনের সময়কাল আরও বাড়তে পারে। কিন্তু সেই ভুল ভেঙে দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিপরিষদ সচিব রাজীব গৌবা।
তিনি বলেন, “এ জাতীয় প্রতিবেদন দেখে আমি খুবই অবাক হয়েছি। লকডাউন বাড়ানোর কোনও পরিকল্পনা নেই।” লকডাউন জারি হওয়ার ৩৬ ঘণ্টা পরেই দেশের দরিদ্রদের জন্য আগামী তিন মাসের খাদ্যদ্রব্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ। এবার শনিবার আগামী তিন মাসের জন্য সাধারণ মানুষকে ওষুধপত্র দেওয়ার কথা ঘোষণা করল স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছিল, যারা ক্রনিক পেশেন্ট, তাঁরা নিজেদের কোনও রিপ্রেসেন্টিটিভ পাঠিয়েও হাসপাতাল থেকে তিন মাসের ওষুধ ঘরে মজুত করতে পারবেন। এর আগে লকডাউনের জেরে যাতে সাধারণ মানুষের খাদ্যদ্রব্যের অভাব না হয়, তার জন্য আগামী তিন মাসের জন্য দরিদ্র পরিবারগুলিকে প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনার মাধ্যমে ৮০ কোটি মানুষের কাছে খাদ্যশস্য পৌঁছে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন অর্থমন্ত্রী।
এই প্রকল্পের মাধ্যমে পরিবারের প্রতি সদস্যপিছু ৫ কেজি চাল অথবা গম সম্পূর্ণ বিনামূল্যে দেওয়া হবে বলেছিলেন তিনি। তবে সরকারের এই সকল পদক্ষেপের ফলে শুরু হয়েছিল জল্পনার। তিনমাসের খাদ্যদ্রব্য এবং ওষুধপত্র ঘরে মজুত রাখার ফলে অনেকেই মনে করছিল ১৫ এপ্রিলের পরেও জারি থাকবে লকডাউন। তবে এবার সেই সব জল্পনায় ইতি টানলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পরিষদ সচিব।