নতুন অনলাইন ডেস্ক, ৩০ মার্চ।। করোনা আতঙ্কে কাঁটা গোটা বিশ্ব। যেভাবে করোনা তার বিষ ছড়াচ্ছে তাতে প্রাণ যাচ্ছে বহু মানুষের। করোনার হাত থেকে বাঁচতেই অনেকে যাচ্ছেন সেলফ আইসোলেশনে। এবার সেলফ আইসোলেশনে গেলেন থাইল্যান্ডের রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন। তিনি একা নন বরং ২০ জন হারেম অর্থাৎ ‘বিশেষ সেবিকা’ নিয়ে ‘সেলফ আইসোলেশনে’ রাজা। ভাবছেন নিশ্চয়ই এই সব তো সিনেমাতে হয়। না না এটা সিনেমা নয়, বাস্তবেই থাইল্যান্ডের রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন ২০ জন মহিলা, ‘বিশেষ সেবিকা’ নিয়ে জার্মানির একটি বিলাসবহুল হোটেলে রয়েছেন ‘সেলফ আইসোলেশনে’। ‘বিল্ড’ নামক একটি পত্রিকায় বিশ্বজোড়া করোনা পরিস্থিতির প্রতিবেদন দেখার পরেই আতঙ্কিত তিনি। সেই কারণেই জার্মানির গার্মিশ পার্টেনকির্চেনের আস্ত গ্র্যান্ড হোটেল সোনেনবিচলটাইকে বেছে নিয়েছেন ‘সেলফ আইসোলেশনের’ জন্য। সূত্রের খবর, ৬৭ বছর বয়সী থাইল্যান্ডের রাজার চার রানি রয়েছেন। কিন্তু তাঁরা রাজার সঙ্গে থাকবেন কিনা তা জানা যায়নি।
‘বিল্ড’ নামক একটি পত্রিকা প্রকাশ করেছে ২০ জন ‘বিশেষ সেবিকা’ ছাড়াও রাজার যাতে কোনও অসুবিধা না হয় সেই কারণে রাজার দেখভাল করবেন বেশ কয়েকজন পদস্থ কর্মচারী, দেহরক্ষী। রিপোর্টে বলা হয়েছে, জার্মানি গার্মিশ-পারটেনকির্চেনের চার তারা হোটেলটি জেলা কাউন্সিলের কাছ থেকে তাঁদের থাকার ব্যবস্থা করার জন্য “বিশেষ অনুমতি” পেয়েছে। কারণ, অতিথিরা একক, একজাতীয়, একচেটিয়া জনগোষ্ঠী। থাইল্যান্ডের আতঙ্কিত রাজার এই ‘সেলফ আইসোলেশন’ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় চর্চা শুরু হয়েছে। উঠেছে তাঁর বিলাসবহুল জীবন কাটানোর জন্য সমালোচনার ঝড়। সেই সঙ্গে সকলেই ভেবে অবাক হচ্ছেন যে ২০ জন ‘বিশেষ সেবিকা’ নিয়ে থাইল্যান্ডের রাজা কিভাবে কাটাচ্ছেন ‘সেলফ আইসোলেশন’।