নতুন প্রতিনিধি, আগরতলা, ৩ মার্চ৷৷ রাজ্যে কলেজের অন্তিম বর্ষের ছাত্রছাত্রীদের স্মার্ট ফোন দেবে রাজ্য সরকার৷ মঙ্গলবার মন্ত্রিসভা এই সিদ্ধান্তের অনুমোদন দিয়েছে৷ তাতে, মোট ২২টি সাধারণ ডিগ্রি কলেজ সহ ৩৮ কলেজের ১৪,৬০৮ জন ছাত্রছাত্রীকে স্মার্ট ফোন দেওয়া হবে৷ এর জন্য রাজ্য সরকারের কোষাগার থেকে ৭ কোটি ৩০ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা ব্যয় হবে৷ মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর আজ সন্ধ্যায় সচিবালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী যুব যোগাযোগ যোজনার ঘোষণা দেন শিক্ষা মন্ত্রী রতন লাল নাথ৷ স্বাভাবিকভাবেই, ত্রিপুরায় পালা বদলের দ্বিতীয় বর্ষ পূর্তিতে বিজেপি-আইপিএফটি জোট সরকারের এই ঘোষনা আরও একটি উপহার বলে মনে করা হচ্ছে৷ অবশ্য, এই ঘোষণা নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণের উপলক্ষ বলেও ধারণা করা হচ্ছে৷ আজ শিক্ষা মন্ত্রী বলেন, ২০২০-২১ অর্থ বছরে কলেজের অন্তিম বর্ষের ছাত্রছাত্রীদের স্মার্ট ফোন দেওয়ার সিদ্ধান্ত ত্রিপুরায় মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হয়েছে৷ তাঁর কথায়, ত্রিপুরায় সাধারণ ডিগ্রি কলেজ, টেকনিক্যাল কলেজ এবং ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয় মিলিয়ে মোট ২২টি ডিগ্রি কলেজ সহ ৩৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১৪,৬০৮ জন ছাত্রছাত্রীকে ওই স্মার্ট ফোন দেওয়া হবে৷ ছাত্রছাত্রীদের অনলাইনে আবেদন জানাতে হবে৷
এ-বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, সর্বনিম্ন ১৮ বছর এবং সবর্োচ্চ ২৫ বছর বয়সের ছাত্রছাত্রীরাই ওই যোজনায় সুযোগ নিতে পারবেন৷ সে-ক্ষেত্রে স্মার্ট ফোন কিনে সমস্ত কাগজপত্র কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেওয়ার পর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ওই ছাত্রের ব্যাঙ্ক একাউন্টে টাকা পাঠানো হবে৷ তিনি বলেন, স্মার্ট ফোন কেনার জন্য একজন ছাত্র সবর্োচ্চ ৫০০০ টাকা দাবি করতে পারবেন৷ তাঁর বক্তব্য, প্রত্যেক ছাত্রের জন্য বরাদ্দ ৫০০০ টাকা হিসেবে মোট ৭ কোটি ৩০ লক্ষ ৪০ হাজার সরকারের ওই যোজনায় খরচ হবে৷ শিক্ষামন্ত্রীর দাবি, ছাত্রছাত্রীদের প্রযুক্তির প্রতি আরও আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে ওই যোজনা আনা হয়েছে৷ তিনি বলেন, আপাতত ৩৮টি কলেজের চিহ্ণিত ছাত্রছাত্রীদের ওই যোজনায় স্মার্ট দেওয়া হবে৷ পরবর্তী সময়ে যোজনার পরিসর বৃদ্ধির চিন্তাভাবনা করা হবে৷