নতুন প্রতিনিধি,উদয়পুর, ১৩ ফেব্রুয়ারী৷৷ নাবালিকা স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ ও খুনের মামলায় ২ অভিযুক্তকে মৃত্যুদন্ডের আদেশ আদালতের। নতুনবাজার থানাধীন কৃষ্ণকান্ত পাড়ায় ১৪ বর্ষীয়া এক নাবালিকাকে পাশবিক অত্যাচার চালিয়ে খুনের অভিযোগ উঠে। কষ্টরাই ত্রিপুরা ও অনন্ত ত্রিপুরার বিরুদ্ধে দীর্ঘ শুনানির পর অভিযুক্তদের দোষী সাব্যস্ত করে ফাঁসির সাজা দিল গোমতী জেলার বিশেষ আদালত। গোমতী জেলার অমরপুর মহকুমায় নতুন বাজার থানাধীন কৃষ্ণকান্ত পাড়ার উপজাতি নাবালিকাকে ধর্ষণের পর খুন করেছিলেন কষ্ট রায় ত্রিপুরা ও ভঞ্জয় ত্রিপুরা৷ বুধবার আদালত ভারতীয় দন্ডবিধি ৩০২/৩৭৬(ডি)/৩৬৬ এবং ২০১ ও পক্সো আইনের চার ধারায় তাদের দোষী সাবস্ত করেছে৷ তবে আজ আদালত সাজা ঘোষণা করেছে৷ স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর পল্টু দাস জানিয়েছেন, ২০১৮ সালে ৫ ডিসেম্বর নতুন বাজার থানাধীন কৃষ্ণকান্ত পাড়া এলাকার এক উপজাতি নাবালিকা বিদ্যালয়ে যাওয়ার সময় এলাকারই দুই যুবক কষ্ট রায় ত্রিপুরা ও ভঞ্জয় ত্রিপুরা তাকে জঙ্গলে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের পর নৃশংসভাবে খুন করে৷ পল্টুবাবু জানান, ওই নাবালিকাকে প্রথমে গাছের ডাল দিয়ে মাথায় আঘাত করা হয়৷ তবুও তার মৃত্যু না হওয়ায় তাকে ডোবার জলে চুবিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে ধর্ষকরা৷ তিনি জানান, ওই দিন সন্ধ্যা হয়ে গেলেও ওই নাবালিকা বাড়ি ফিরে না আসায় তার খোজাখুজি শুরু হয়৷ তখন স্থানীয় দুই নাবালিকার কাছ থেকে ঘটনা সম্পর্কে জানতে পারেন মৃতার পরিবারের সদস্যরা৷ গ্রামের মাতববরা কষ্টরাই ত্রিপুরা ও ভঞ্জয় ত্রিপুরাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গেলে সুযোগ বুঝে কষ্টরাই ত্রিপুরা পালিয়ে যায়৷ কিন্তু ভঞ্জয় ত্রিপুরা পালাতে পারেনি৷ গ্রামবাসীদের কাছে ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা স্বীকার করে ওই দিন রাতেই পুলিশ তাকে সাথে নিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে৷ দুই দিন পর পুলিশ কষ্টরাই ত্রিপুরাকেও গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়৷ এদিকে, মৃতার বড় ভাই নতুনবাজার থানায় একটি মামলা করেন৷ পুলিশ তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশিট জমা দেয়৷ ওই মামলায় আদালতে ৩২ জনের সাক্ষ গ্রহণ করা হয়েছে জানিয়েছেন পল্টু দাস৷ তিনি বলেন, আজ ওই মামলায় ভারতীয় দন্ডবিধি ৩০২/৩৭৬(ডি)/৩৬৬ এবং ২০১ ও পক্সো আইনের চার ধারায় তাদের সাজা ঘোষণা করেছে।