নতুন প্রতিনিধি, আগরতলা, ১০ ফেব্রুয়ারী।। অবশেষে জিবি হাঁসপাতালে মৃত্যু হল গৃহবধূ জেসমিন আক্তারের। ৬ ফেব্রুয়ারী শ্বশুর বাড়ির লোকজন জেসমিন আক্তারকে মারধর করে শরীরে কেরসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় । পরে গুরুতর আহত অবস্থায় জিবি হাঁসপাতালে ভর্তি করা হয় জেসমিন আক্তারকে। ঘটনার খবর পেয়ে জিবি হাসপাতালে অগ্নিদগ্ধাকে দেখতে ছুটে যান রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন বর্ণালী গোস্বামী। তিনি গৃহবধূর সঙ্গে কথা বলেন । গোটা ঘটনা সম্পর্কে অবগত হন। অগ্নিদগ্ধা গৃহবধূর বয়ান লিপিবদ্ধ করে রাজ্য মহিলা কমিশন। গৃহবধূ জানান তার গায়ে আগুন লাগিয়েছে শ্বশুর , স্বামী ও ননাস। তাদের ৯ মাসের বৈবাহিক জীবন। বর্তমানে ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ। বিয়ের কিছু দিন পর থেকেই তার উপর অত্যাচার করা হত। ৬ ফেব্রুয়ারি শ্বশুর , স্বামী ও ননাস মিলে গায়ে আগুন লাগিয়ে দেয়। জিবি হাঁসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় রবিবার রাতে মৃত্যুর কোলে ঢলে পরে গৃহবধূ জেসমিন আক্তার। এইদিকে মৃতার শ্বশুর , স্বামী ও ননাস -এর নামে পূর্ব মহিলা থানায় মামলা দায়ের করে বাপের বাড়ির লোকজন। কিন্তু অভিযোগ পূর্ব মহিলা থানার পুলিশ কোন এক অজ্ঞাত কারনে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করছে না। বরং মৃতার বাপের বাড়ির লোকজনদের পুলিশ জানিয়েছে অভিযুক্তদের আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য। পুলিশের এই ভুমিকায় অসন্তোষ মৃতার বাপের বাড়ির লোকজন।