নতুন প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৭ জানুয়ারি।। সরস্বতী পুজো মানেই যেন হঠাৎ করে কিছুটা বড় হয়ে যাওয়ার দিন। মজা, আনন্দ, অলিখিত প্রতিযোগিতার ছলে দায়িত্ব নিতে শিখে যাওয়ার দিন। স্যার, দিদিমণিদের দেখিয়ে দেওয়া, ‘‘আমরাও পারি।’’ পুজোর চাঁদা তোলা থেকে বাজেট ঠিক করা, প্রতিমা আনা, আলপনা দেওয়া, বাজার করা, রান্নার ঠাকুর ঠিক করা, অন্য স্কুলে নেমন্তন্ন করতে যাওয়া সব দায়িত্বই যে নিজেদের। কোথাও একচুলও যেন খুঁত ধরতে না পারে কেউ। শুধু পুজোটা সুষ্ঠভাবে করতে পারলেই তো হল না। আগের বছরের থেকে ভাল করতে হবে যে! আর পরের বছরও যেন একটি আফসোসের সুরে বলে, উঁহু, ঠিক আগের বছরের মতো হল না। এই সবের মাঝেই ফের একবার বাগদেবীর আরাধনার প্রস্তুতি চলছে। কুমোড় পাড়ায় চলছে মূর্তি তৈরির কাজ। বায়না অনুযায়ী প্রতিমা তৈরি করছেন মৃৎ শিল্পীরা। রাজধানীর সমস্ত জায়গায় একই চিত্র। আগামী ২৯ জানুয়ারী সরস্বতী দেবীর পুজো। চাহিদা রয়েছে। কিন্তু মূর্তি তৈরির সরঞ্জাম জোগাড় করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে শিল্পীদের। মাটি জোগাড় করতে হচ্ছে গাবর্দি থেকে। তাঁর উপর শ্রমিক পেতে অসুবিধা। ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা দিয়ে প্রতিমা বিক্রি করেও মূল্য পাওয়া যায় না। এর উপর বেরেছে জিনিস পত্রের দাম। ছোট মূর্তির চাহিদা রয়েছে। বড় মূর্তি বায়না অনুযায়ী তৈরি করা হচ্ছে। সামগ্রীর জন্য মূর্তির দাম বেড়েছে বলে জানান প্রতিমা শিল্পীরা।