নতুন প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৪ জানুয়ারি।। পিতলের রেকাবিতে ‘কয়েকটি বাতাসা’ দিয়ে মেয়ের বিয়ের কথা পেড়েছিলেন নবীন বাঁড়ুজ্জ্যে। রবীন্দ্রনাথের ‘শুভদৃষ্টি’ গল্পে বর্ণিত বাঙালির অতিথি আপ্যায়নের এই রীতি বেশ পুরনো। কিন্তু সেই বাতাসা-নকুলদানা-কদমাকে আর তেমন বাজারজাত করা যাচ্ছে না। অথচ দেশ জুড়েই ভাল চাহিদা রয়েছে। পৌষ সংক্রান্তি বা মকর সংক্রান্তি -বাঙালি সংস্কৃতিতে একটি বিশেষ উৎসবের দিন। বাংলা পৌষ মাসের শেষের দিন এই উৎসব পালন করা হয়। এই দিন বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন করে থাকে। তার মধ্যে পিঠা খাওয়া, বাড়ি বাড়ি গিয়ে কীর্তনের মধ্য দিয়ে ধর্মীয় আচারে মেতে ওঠা। সংক্রান্তিতে নকুল দানা, বাতাসার সঙ্গে কদমা, তিল্লাই থাকবে না তাতো হতেই পারে না। আর তাই বাজারে এসে গেছে গ্রামীন শিল্পীদের হাতে তৈরি এই মিষ্টি। কদমা, বাতাসা বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কিলোদরে। অন্যদিকে তিল্লাই বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা কিলোদরে। বিক্রেতারদের দাবি উৎপাদন কম হওয়ায় কিছুটা দাম বেড়েছে। সেই ভাবে বিক্রিও ভাল নয়। খেজুরের গুড় বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ২০০ টাকা দরে। অন্যদিকে কদমা, তিল্লাই প্রস্তুত কারীরা তাদের সাধ্য মত সামগ্রী তৈরি করে যাচ্ছে। বিভিন্ন আকৃতির কদমা , তিল্লাই তৈরি করছেন কারিগরেরা। পৌষ সংক্রান্তিকে সামনে প্রতিবছরই এক মাস আগে থেকে তৈরি হয় এই তিল্লাই, কদমা । রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কারিগরেরা আসেন এই মিষ্টি তৈরিতে। সম্পূর্ণ ভাবে চিনি দিয়ে তৈরি করা হয় এই সামগ্রী। কোন কৃত্তিম রং, স্বাদের জন্য কোন রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়না। কিন্তু এই বছর চাহিদা কিছুটা কম। ৬৪ বছরের দোকানে দিন কমেছে লাভের হার। কিন্তু জে সমস্ত সামগ্রী তৈরির আগাম বায়না আসে তা বিক্রি হয়ে যায় বলে জানান প্রস্তুত কারক দিপ্তেস সাহা।