নতুন প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৫ জানুয়ারি।। পৌষ বা মকর সংক্রান্তি। মহাভারতের শ্রেষ্ঠত্বম যোদ্ধা, গঙ্গাপুত্র ভীস্ম আজকের দিনে নিজের প্রাণ ত্যাগ করেন। গ্রাম বাংলায় খর ও বাঁশের স্তূপ পুরোনো হয়, এটি মূলত ভীস্মের মৃতদেহ সৎকারের প্রতীকী রুপে।
গঙ্গাপুত্র দেবব্রত সম্পর্কে অর্জুন ও দুর্যোধনদের ঠাকুরদা ও ধৃতরাষ্ট্রের জেঠু ছিলেন, গঙ্গাপুত্র দেবব্রত নিজ প্রতিজ্ঞার কারনে ভীস্ম নামে লাভ করেন। ভীস্ম ভগবান পরশুরামের শিষ্য, তথা মহাভারতের শ্রেষ্ঠত্বম যোদ্ধা ছিলেন, যার সামনে অর্জুন বা কর্নের সামর্থ্যও নগন্য ছিল, ভীস্ম একমাত্র ব্যক্তি যাকে পরশুরামও পরাজিত করতে পারেনি। মূলত ভীস্মের সামর্থ্যই ছিলো পান্ডবদের বিরুদ্ধে শকুনি তথা ধৃতরাষ্ট্রের মূল ভরসা। ভীস্ম নিজ সৎ মায়ের তার পুত্রদের সিংহাসনে বসার ইচ্ছাপূরনে রাজসিংহাসন ও যুবরাজ পদ ত্যাগ করে আজীবন সেবক হিসেবে হস্তিনাপুরকে রক্ষা করার প্রতিজ্ঞা নেন এবং আরেক প্রতিজ্ঞায় রাজকন্যা শিখন্ডিনীর সামনে পূর্ব প্রতিশ্রুতি মতো স্বেচ্ছায় অস্ত্র ত্যাগ করেন। যতক্ষণ ভীস্ম যুদ্ধ ময়দানে ছিলেন ততক্ষণ যুদ্ধ পরিস্থিতি ছিলো কৌরব পক্ষে, ভীস্মের অস্র ত্যাগের পরেই একে একে শত কৌরব ভাই ভীমের হাতে নিহত হতে শুরু হয়।