নতুন প্রতিনিধি, আগরতলা, ২ জানুয়ারি।। ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে রাজ্যের একাধিক এ.টি.এম থেকে গ্রাহকদের আর্থ আচমকা গায়েব হয়ে যায়। গ্রাহকরা যখন বুঝতে পারে তাদের একাউন্ট থেকে অর্থ গায়েব হয়ে গিয়েছে, তখন তারা পুলিশের দ্বারস্থ হয়। পশ্চিম আগরতলা থানায় নভেম্বর মাসের ১৫ তারিখ এই বিষয়ে পৃথক দুইটি মামলা নথিভুক্ত করা হয়। তারপর রাজ্য পুলিশের সাইবার ক্রাইম শাখা এই ঘটনার তদন্তে নামে। তদন্তক্রমে প্রকাশ্যে আসে রাজধানী আগরতলা শহরের বেশকয়েকটি এ.টি.এম ক্লোন করেছে হ্যাকাররা। এ.টি.এম মেশিনের সাথে থাকা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে হ্যাকারদের শনাক্ত করা হয়। হ্যাকারদের সন্ধানে রাজ্য পুলিশের সাইবার ক্রাইম শাখা যখন ময়দানে নামে তখন কোলকাতা পুলিশের হাতে ধরা পড়ে এই হ্যাকাররা। তারা হল তুরস্কের বাসিন্দা মহম্মদ হান্নান ও ফাতাহ আলদিমির এবং বাংলাদেশের বাসিন্দা মহম্মদ রফিকুল ইসলাম ও হারান যানবুরখান। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ দফায় দফায় ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে জানতে পারে তারা ত্রিপুরা, আসাম সহ একাধিক স্থান থেকে এ.টি.এম ক্লোন করে গ্রাহকদের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে। এইদিকে রাজ্য পুলিশের সাইবার ক্রাইম শাখা ধৃতদের রাজ্যে এনে ঘটনার তদন্ত করার জন্য আদালতে আবেদন জানায়। আদালত থেকে অনুমতি পাওয়ার পর রাজ্য পুলিশের সাইবার ক্রাইম শাখার একটি দল পশ্চিমবঙ্গ যায়। সেখান থেকে অবশেষে বুধবার রাতে ধৃতদের রাজ্যে নিয়ে আসে রাজ্য পুলিশ। বৃহস্পতিবার পশ্চিম জেলার জেলা ও দায়রা আদালতে ধৃত চার ব্যাঙ্ক হ্যাকারকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। এইদিন সাইবার ক্রাইমের তদন্তকারী অফিসারের পক্ষ থেকে আদালতে ধৃতদের ৭ দিনের পুলিশ রিমান্ডের আর্জি জানানো হয়।ধৃতদের পুলিশ রিমান্ডের জন্য এইদিন আদালতে সাওয়াল করেন সরকার পক্ষের আইনজীবী বিদ্যুৎ সূত্রধর। তিনি জানান মামলার তদন্তকারী অফিসারের পক্ষ থেকে ধৃতদের ৭ দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়।এইদিন সাইবার ক্রাইম শাখার তদন্তকারী অফিসারের পক্ষ থেকে ধৃত চার এ.টি.এম হ্যাকারের ৭ দিনের পুলিশ রিমান্ডের আর্জি জানানো হলেও আদালত তাদেরকে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত পুলিশ রিমান্ডের নির্দেশ দেয়। এইদিকে যতটুকু খবর ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রশ্নমালা তৈরি করে নিয়েছে মামলার তদন্তকারী অফিসার। এখন দেখার পুলিশ রিমান্ডে ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে কি কি তথ্য বের করতে পারে পুলিশ।