নতুন প্রতিনিধি, আগরতলা, ১ জানুয়ারি৷৷ কৈলাসহরের মাছ বাজারের পাশেই হরিদাস সরকারের দালান বাড়িতে রাতের অন্ধকারে অতর্কিত হামলা করে জগন্নাথ সরকার, বলরাম সরকার, প্রাণকৃষ্ণ সরকার, বিকাশ সরকার সহ আরোও কুড়ি পঁুচিশ জন যুবকরা৷ ঘটনা একত্রিশ ডিসেম্বর রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ৷ বাজি ফোটানোকে কেন্দ্র করে এই ঘটনা হয়েছে বলে হরিদাস সরকার জানান৷ কৈলাসহরের প্রতিষ্ঠিত শুকনো মাছ ব্যবসায়ী হরিদাস সরকার৷ মাছ বাজারের পাশেই হরিদাস সরকারের একটি দ্বিতল দালান বাড়ি রয়েছে৷ দ্বিতল দালান বাড়ির নীচে রয়েছে হরিদাস সরকারের শুকনো মাছের দোকান এবং দালান বাড়ির উপরের অংশে হারিদাস সরকারের ভাই এবং ভাতিজারা বসবাস করেন৷ একত্রিশ ডিসেম্বর উপলক্ষ্যে রাতে মাছ বাজারের ভিতরে পিকনিক করে জগন্নাথ সরকার, বলরাম, প্রাণকৃষ্ণ, বিকাশ সহ আরোও অন্যান্যরা৷ রাত বারোটা বাজার সঙ্গে সঙ্গেই জগন্নাথরা বাজি ফোটানো শুরু করে হরিদাস সরকারের দালান বাড়ির সামনেই৷ এমনকি হরিদাস সরকারের দালান বাড়ির ভিতরেও বোমা ফেলে৷ তখন হরিদাস সরকারের ভাতিজা এসে বোমা ফাঠানো বন্ধ করার অনুরোধ করা মাত্রই ভাতিজা পঙ্কজ সরকারকে বেধড়ক মারধোর করে নাক ফাটিয়ে দেয়৷ এরপর হরিদাস সরকারের দালান বাড়ির শাটার দা দিয়ে কুঁপায় এবং ইলেকট্রিক মিটার বক্স ভেঙে দেয়৷ বোতল দিয়ে পেট্রোল এনে দালান বাড়িতে আগুন লাগানোরও চেষ্টা করে৷ সঙ্গ সঙ্গে কৈলাসহর থানায় খবর দেয় এবং পুলিশ এসে পঙ্কজ সরকারকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়৷ পরিবারের অন্য সদস্যরা এইসব দৃশ্য দেখে ঘাবড়ে যায় এং এই বাড়িতে নিরাপত্তার অভাব বোধ করে৷ পুলিশ পরিবারের অন্যান্যরা সদস্যদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে থানায় নিয়ে যায়৷ হরিদাস সরকার জানায়, জগন্নাথরা অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে এবং পরিবারের সবাইকে আগুনে পুড়িয়ে মারারও হুমকি দেয়৷ হরিদাস সরকার কৈলাসহর থানায় জগন্নাথ, বলরাম, বিকাশ, প্রাণকৃষ্ণ সরকারের নামে লিখিত অভিযোগ করার পরও বারো ঘন্টা অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করেনি৷ অথচ জগন্নাথরা প্রকাশ্যেই বাজারে ঘুরাফেরা করছে৷ উল্টো হরিদাস সরকারকে মামলা তোলে নেবার হুমকি দিচ্ছে৷ মামলা প্রত্যাহার না করলে হরিদাস সরকারকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে প্রকাশ্যেই৷ এতকিছুর পরও পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করছে না৷ হরিদাস সরকার নিরূপায় হয়ে ঘটনার সুষ্ট বিচার চাইছেন এবং অপরাধীদের গ্রেপ্তার চাইছেন৷