নতুন অনলাইন ডেস্ক, ৩১ ডিসেম্বর।। আপনি যদি কোন অনুষ্ঠান বা পার্টিতে নজরকাড়া হতে চান! তাহলে শুধু পোশাক-আশাকই নয় এর জন্য দরকার হবে পোশাকের সঙ্গে মানানসই মেকআপ। যা অনেকের মধ্য থেকে আপনাকে আলাদা করে দিবে। ভিড়ের মধ্যে অনন্য অসাধারণ হতে চাইলে ভরসা কিন্তু ইলিউমিনেটিং মেকআপ-এ রকমই বলছেন রূপচর্চার বিশেষজ্ঞরা। এই মেকআপ নজর তো কাঁড়বেই, একই সঙ্গে গ্ল্যামার চুঁইয়ে পড়বে আপনার ত্বক থেকে। অথচ তাতে কোথাও থাকবে না কৃত্রিমতা। ন্যাচারাল লুকের মাঝে ইলিউমিনেশন ধরে রাখতে চাইলে দরকার হবে এই ধরনের মেকআপ। কী ভাবে করবেন এই মেকআপ? এবার তা সবিস্তারে জেনে নিন – • শুরু হবে প্রাইমার দিয়ে। অবশ্যই তা হতে হবে ইলিউমিনেটিং প্রাইমার। এতে ত্বকের উপরে মসৃণ এক পরত পড়বে। ফলে মেকআপ করা সহজ হবে, আবার কৃত্রিম প্রসাধনীর প্রভাব থেকে রক্ষা করবে ত্বক। এবার ত্বক ময়শ্চারাইজ করে নিন। আঙুলের ডগায় প্রাইমার নিয়ে গাল, কপাল, নাক, চিবুকে লাগান। আলতো হাতে গোটা মুখে তা ব্লেন্ড করে নিন। • ত্বকের নানা ছোপ জাতীয় দাগ উধাও করার কাজটা করবে ফাউন্ডেশন ও কনসিলার। প্রথমে ইলিউমিনেটিং ফাউন্ডেশন ও পরে কনসিলার লাগিয়ে নিন। ফলে ডার্ক সার্কল ও পিম্পলের মতো দাগগুলো পড়বে ঢাকা। • এই মেকআপ হাইলাইটার ছাড়া একেবারেই অসম্পূর্ণ। হাতে কয়েক ফোটা লিকুইড হাইলাইটার নিয়ে চিকবোন থেকে নাক অবধি লাগান। আস্তে আস্তে মিলিয়ে দিন ত্বকে। চাইলে এর সঙ্গে মিশিয়ে নিতে পারেন ফাউন্ডেশনও। লিকুইড হাইলাইটারে স্বাচ্ছন্দ না হলে ব্লাশারও ব্যবহার করতে পারেন। • এবার বেস মেকআপ। এমন ফেস পাউডার পছন্দ করুন যাতে শিমার রয়েছে। ত্বকের রং ও এর ধরন অনুযায়ী শিমারিং ফেস পাউডার লাগান। এতে ফাউন্ডেশন ও কনসিলার সেট হবে, আবার ত্বকও উজ্জ্বল হবে। • চোখের মেকআপের সময়ে ভেতরের কোণ বেশি হাইলাইট করতে হবে। এর জন্য গাঢ় মাস্কারা লাগাতে পারেন। গভীরতা চাইলে স্মোকি আইজও করতে পারেন। • চিকবোন হাইলাইট করার জন্য ব্রাশে ইলিউমিনেটিং পাউডার নিন। গাল দুটো মুখের ভেতরে টেনে হাইলাইটার লাগান। • এখানেই শেষ নয়। এরপরে ব্রাশ অন ব্লাশ করুন। কমপ্লেকশন অনুযায়ী ব্লাশার পছন্দ করে গালে লাগান। তবে ব্রাশ দিয়ে টেনে টেনে ত্বকে মিলিয়ে দিতে ভুলবেন না যেন।
• ইলিউমিনেটিং মেকআপের শেষ অংশ হচ্ছে লিপস্টিক বা লিপগ্লস। পছন্দ মতো শেডের স্টিক বা গ্লস এবার লাগান ঠোটে। আয়নায় এবার নিজেকে দেখুন, ত্বকের ঔজ্জ্বল্যে চোখ ছানাবড়া হচ্ছে তো?