নতুন প্রতিনিধি, আগরতলা, ৩০ ডিসেম্বর ৷৷ সরকারী অনুদান প্রাপ্ত বিদ্যালয়গুলিতে হাজিরা খাতার পদ্ধতির পরিবর্তন হচ্ছে৷ শিক্ষক এবং অশিক্ষকদের জন্য বায়োমেট্রিক্স পদ্ধতিতে হাজিরার ব্যবস্থা করতে নির্দেশিকা জারি করেছে বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তর৷ রাজ্যে শিক্ষার হাল ফেরাতে নতুন সরকার একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে৷ বিশেষ করে শিক্ষক-শিক্ষাকাদের বিদ্যালয়ে উপস্থিতি এবং ছাত্র – ছাত্রীদের পঠন পাঠনে আরোও দায়িত্বশীল করে তোলার ক্ষেত্রে বিশেষ যত্ন নিয়েছে শিক্ষা দপ্তর৷ তবে, রাজ্যে সমস্ত সরকারি দপ্তরে এবং বিদ্যালয়গুলিতে কর্মসংসৃকতি লাটে উঠেছে৷ কর্মসংসৃকতি ফেরাতে রাজ্য সরকার আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে৷ এক্ষেত্রে, বিদ্যালয়গুলিতে শিক্ষক- শিক্ষিকাদের নির্ধারিত সময়ে উপস্থিতি খুবই প্রয়োজন, শিক্ষা দপ্তর তা অনেক আগেই অনুভব করতে পেড়েছে৷ কিন্তু, হাল ফেরাতে শিক্ষা দপ্তরের বিশেষ কোনও পদক্ষেপ নজরে আসেনি৷ স্বাভাবিক ভাবেই নতুন সরকার নতুন উদ্যম নিয়ে শিক্ষা ব্যবস্থায় সংস্কারে নেমেছে৷ আজ বিদ্যালয় শিক্ষা অধিকর্তা ইউ কে চামকা এক নির্দেশিকা জারি করে বলেছেন, রাজ্য সরকার সমস্ত সরকারি দপ্তরে বায়োমেট্রিক্স হাজিরা পদ্ধতি চালু করেছে৷ সরকারি কর্মচারীদের উপস্থিতি এবং কাজের নজরদারির উদ্দেশ্যেই এই পদ্ধতি চালু করা হয়েছে৷ সেই মোতাবেক শিক্ষা দপ্তরও ওই পদ্ধতি চালু করতে চাইছে৷ তিনি সমস্ত জেলা শিক্ষা আধিকারীকদের নির্দেশ দিয়েছেন, সমস্ত সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত বিদ্যালয়গুলিতে শিক্ষক এবং অশিক্ষকদের জন্য বায়োমেট্রিক্স হাজিরা পদ্ধতি চালু করতে হবে৷ ওই নির্দেশিকা মোতাবেক শিক্ষক এবং অশিক্ষকদের বেতন দেওয়ার ক্ষেত্রে বায়োমেট্রিক্স রিপোর্টের ভিত্তিতেই বিবেচনা করা হবে৷