নতুন প্রতিনিধি, ফটিকরায়, ২৫ ডিসেম্বর৷৷ নিখোঁজ ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার এগার দিন পর৷ ঘটনা ফটিকরায় থানার অধীন লালঝুড়ি গ্রামে৷ মৃত ব্যক্তির নাম বিপুল ঘোষ৷ বয়স আনুমানিক ৪৫৷ বুধবার সকালে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে৷ ফাঁসিতে ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁর মৃতদেহ দেখতে পান স্থানীয় জনগণ৷ যদিও ওই এলাকাতে গত ১০দিন যাবৎ টানা তল্লাসী চালিয়েছে৷ একই সাথে পুলিশ ও বিএসএফও তল্লাসী চালিয়েছে৷ কিন্তু, তার কোন হদিশ মিলেনি৷ হঠাৎ করে ফাঁসিতে ঝুলন্ত অবস্থায় মৃতদেহ দেখা গেল৷ তাতে আশঙ্কা করা হচ্ছে পরিকল্পিতভাবে বিপুলকে হত্যা করা হয়েছে এবং সুযোগ বুঝে মৃতদেহটি সেখানে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রাখা হয়৷সংবাদে প্রকাশ, ক্যাব’র বিরোধীতায় যখন গোটা রাজ্যে আন্দোলন চলছিল সেইদিনই বাড়ি থেকে জঙ্গলে গিয়েছিলেন গরু চড়াতে৷ দুপুর গড়িয়ে বিকেল হয়ে যায়৷ গরুগুলি বাড়ি ফিরে আসে, কিন্তু বিপুল ফিরে আসেননি৷ পরিবারের লোকজন দুঃশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েন৷ রাতেই জঙ্গলে খোঁজ করেন৷ বিপুলের কোন হদিশ মিলেনি৷ পরদিন ভোরের আলো ফুটতেই প্রতিবেশীদের নিয়ে আবার খঁুজতে শুরু করেন পরিবারের লোকজন৷ কিন্তু, সাফল্য আসেনি৷ তারপর বিষয়টি জানানো হয় ফটিকরায় থানায়৷ পুলিশ অনুসন্ধান পর্ব শুরু করে৷ তল্লাসীতে নামানো হয় বিএসএফের ডগ স্কোয়াডকেও৷ কিন্তু কোন হদিশ পাওয়া যায়নি বিপুলের৷ থানার ওসি থেকে শুরু করে এসডিপিও স্বয়ং এই বিষয়টি তদারকি করেছেন৷ খবর পেয়ে ফটিকরায়ের বিধায়ক নিখোঁজ ব্যক্তির বাড়িতে যান এবং আশ্বাস দেন বিপুলকে খোঁজে বের করা হবেই৷ দিন যায়, রাত যায়, দুশ্চিন্তার কালোমেঘ কোনওমতেই ওই পরিবারের উপর থেকে সরেনি৷ রোজ এখানে সেখানে খোঁজা হয় বিপুল ঘোষকে৷ তন্নতন্ন করে খোঁজা হয়েছে আশেপাশের সব জায়গা৷ কিন্তু, কোথাও বিপুলের হদিশ নেই৷এদিকে, বুধবার আচমকা বাড়ি থেকে প্রায় পাঁচশ মিটার দূরে অপেক্ষাকৃত জঙ্গলে এক ব্যক্তি বিপুল ঘোষের ফাঁসিতে ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখতে পান৷ তিনি সাথে সাথেই বিষয়টি নিখোঁজ ব্যক্তির পরিবারকে জানায়৷ খবর দেওয়া হয় ফটিকরায় থানায়৷ পুলিশও ঘটনাস্থলে ছুটে যায়৷ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায়৷ পুলিশ একটি মামলা নিয়েছে৷ তদন্ত শুরু করা হয়েছে৷ এদিকে, স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, যেখান থেকে বিপুল ঘোষের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে সেখানে প্রায় প্রতিদন লোকজন যাওয়া আসা করেছে৷ কোন মৃতদেহ দেখতে পাননি তারা৷ আশঙ্কা করা হচ্ছে অন্য কোথাও বিপুল ঘোষকে খুন করে মৃতদেহ গুম করে রাখা হয়েছিল৷ পরে সুযোগ বুঝে দুসৃকতিরা মৃতদেহ সেখানে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দিয়েছে৷