নতুন প্রতিনিধি, জিরানিয়া, ২৪ ডিসেম্বর৷৷ পাচারের লক্ষ্যে বড়মুড়া পাহাড়ে রাস্তার ধারে দামি সেগুন গাছ কাটার সময় তিন যুবককে হাতেনাতে ধরলেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব৷ মঙ্গলবার গভীর রাতে এই ঘটনা৷ সংবাদে প্রকাশ, তিনি এদিন কাঞ্চনপুর এর বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করে সন্ধ্যায় আগরতলার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন৷ সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের বনমন্ত্রী মেবার কুমার জমাতিয়া৷ ফেরার পথে বড়মুড়া এলাকা অতিক্রম করার সময় মুখ্যমন্ত্রী দেখতে পান তিনজন ব্যক্তি একটি গাছ কাঁটছেন৷ তৎক্ষণাৎ মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেন কনভয় থামানোর জন্য৷ দ্রুতগতিতে থাকার কারণে তাঁর কনভয় একটু দূরে গিয়ে থামে, কিন্তু তাতে মুখ্যমন্ত্রী থামেননি৷ তিনি পায়ে হেঁটে চলে যান যেখানে গাছ কাটা হচ্ছিল সেখানে৷ মুখ্যমন্ত্রী অবৈধভাবে গাছ কাটার সঙ্গে যুক্ত ৩ ব্যক্তিকে জিজ্ঞেস করলেন যে এই গাছ অনুমতি নিয়ে কাটা হচ্ছে কিনা৷ তখন ঐ তিনজন ইতস্তত হয়ে উত্তর দিলেন যে গাছটি নাকি দুদিন ধরে এখানে পরে রয়েছিল৷ কিন্তু গাছের শেখর দেখে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল যে গাছটি অল্প কিছু সময় আগে কাটা হয়েছিল আর তারা যা বলছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা৷ তৎক্ষণাৎ মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেন পুলিশ এবং বন দপ্তরের যারাই এই অবৈধ কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত এবং দোষীদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে৷ পরবর্তী সময়ে মুখ্যমন্ত্রী এবং বনমন্ত্রী মিলে এই তিনজনকে পুলিশের হাতে তুলে দেন৷ মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই ব্যাপারে বিস্তারিত তদন্ত করা প্রয়োজন৷ যারাই এই গাঁছ কাটার জন্য পাঠিয়েছে তাদের চিহ্ণিত করতে হবে৷ সরকারী কোন কর্মী জড়িত থাকলে তাদের সবাইকে ধরা হবে এবং কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে৷ তিনি আরও বলেন, একদিকে বনায়ন নিয়ে রাজ্য সরকার জোর দিয়েছে, অন্যদিকে এইভাবে রাতের আধারে দামি গাছ কেটে নেওয়া কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না৷ অন্যদিকে, ঘটনাস্থলে মুখ্যমন্ত্রীর সাথে থাকা বনমন্ত্রী মেবার কুমার জমাতিয়া বলেন, তিনি খোঁজ নিয়ে দেখবেন ডিএফও’র তরফ থেকে কোন্য অনুমতি রয়েছে কিনা গাছ কাটার৷ যদি কোথাও কোনও অনিয়ম পাওয়া যায় তাহলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন৷