নতুন অনলাইন ডেস্ক, ২৫ ডিসেম্বর।। নম্র-ভদ্র স্বভাবের ভাল ছেলে, কারো সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে না, লেখাপড়ায়ও ভালো। অন্যদিকে ক্যারিয়ার সচেতন, মা-বাবার খেয়াল রাখে, সবাই তাকে ভালো ছেলে হিসাবে জানে। একটু লক্ষ্য করলেই দেখবেন যে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই ভালো ছেলেগুলোর প্রেমিকা হয় না। প্রেমিকা হলেও সম্পর্ক স্থায়ী হয় না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মন ভাঙার যন্ত্রণা ছেলেটি একা বহন করে বেড়ায়। কেন হয় এমন? এর পেছনে রয়েছে কয়েকটি কারণ। সেগুলোই আজ পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো- গায়ে পড়া স্বভাব নেই- ভালো ছেলেরা শুধু মেয়ে কেন, কারো সঙ্গেই গায়ে পড়ে আলাপ করতে পারেন না। এমনকি কেউ আলাপ করতে এলেও অনেকেই নিজের মাঝে গুটিয়ে থাকেন। ফলে তাদের পরিচিত মানুষের পরিধি হয় অনেক কম। আর মেয়েদের সঙ্গে পরিচয়ও হয় কম। তারা ছলকলা বোঝে না- প্রেম করতে ও কোন মেয়েকে প্রেমে ফেলতে গেলে একটু কৌশল, একটু ছলকলা জানতেই হয়। বলাই বাহুল্য যে ভালো ছেলেরা এসব থেকে একশ হাত দূরে থাকেন এবং এগুলো বোঝেনও না। ভালো ছেলেরা ‘বোরিং’ হয়- মেয়েদের একটা চিরকালের আগ্রহ আছে একটু খারাপ ছেলেদের প্রতি। তাদের প্রেমিকা হওয়াকে মেয়েদের কাছে একটা চ্যালেঞ্জ মনে হয়। অন্যদিকে ভালো ছেলেদেরকে তাদের চোখে মনে হয় ‘বোরিং’। মায়ের কথা মেনে চলে- বেশিরভাগ ভালো ছেলে মায়ের কথা খুব শোনে। মায়ের পছন্দ ছাড়া বিয়ে করবো না, কিংবা সব সিধান্তে মাকে শামিল করে তারা। এই ব্যাপারটা বেশিরভাগ মেয়ে পছন্দ করে না।ক্যারিয়ার নিয়ে বেশি সচেতন- বেশিরভাগ ভালো ছেলেই নিজের লেখাপড়া ও ক্যারিয়ার নিয়ে খুব ব্যস্ত থাকেন। আর এসবের মাঝেই হারিয়ে যায় প্রেম ও অন্যান্য ব্যাপার। যখন বুঝতে পারেন, ততক্ষণে দেরি হয়ে গেছে। মিথ্যা বলতে পারে না- প্রেমের সম্পর্কে টুকটাক নির্দোষ মিথ্যা থাকেই। নিজের সম্পর্কে একটু বাড়িয়ে বলা, নিজেকে একটু হিরো সাজিয়ে উপস্থাপন করা ইত্যাদি ভালো ছেলেরা পারেই না একদম। ফলে মেয়েরাও পটে না সহজে। শুরুতেই সিরিয়াস হয়ে যায়- কারো সঙ্গে প্রথম প্রথম ডেটিং-এই এই ধরণের ছেলেরা খুব বেশি সিরিয়াস হয়ে যায়। মেয়েটির ওপরে অধিকার ফলাতে থাকে। আর এটাই সম্পর্কটাকে সামনে এগোতে বাঁধা দেয়। প্রচণ্ড আবেগী হয়- বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ভালো ছেলেরা হয় প্রচণ্ড আবেগী ও স্পর্শকাতর। এরা খুব অভিমানী স্বভাবেরও হয়। তাই তুচ্ছ কারণে এদের সম্পর্ক ভাঙে এবং নতুন সম্পর্ক হয় না। খারাপ মেয়েদের খপ্পরে পড়ে- বেশিরভাগ ভালো ছেলেই সত্য ও মিথ্যার মাঝে পার্থক্য বুঝতে পারে না। ফলে তারা পুরুষ লোভী কিছু খারাপ মেয়েদের খপ্পরে পড়ে। এবং অন্য মেয়েদের উপর থেকেও বিশ্বাস হারিয়ে ফেলে। সম্পর্ক ভীতি কাজ করে- প্রেম করলে কী হবে? যদি বিয়ে না করতে পারি? বাসায় জানলে কী হবে? কীভাবে প্রপোজ করবো… সম্পর্ক নিয়ে ইত্যাদি হরেক রকম ভীতি কাজ করে অনেকের মনেই। আর এর ফলে তাদের প্রেম করাটাই হয়ে ওঠে না।